অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিরোধীরা বলে আসছেন, তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই চলছে। কলকাতায় ‘নতুন তৃণমূল’ হোর্ডিং পড়ার পরেও জোর চর্চা শুরু হয় বিরোধী শিবিরে। পরে উত্তর কলকাতায় এমন হোর্ডিং দেখা যায়, যেখানে লেখা ছিল, ‘পুরাতনই ভিত্তি, নতুনই ভবিষ্যৎ’। এটা নিয়েও বিরোধীরা ‘পিসি-ভাইপো’ লড়াইয়ের দাবি তোলে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের কর্মী সম্মেলনে এ নিয়ে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তিনি জানালেন, এ সবই বিরোধীদের চক্রান্ত।
বৃহস্পতিবার প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার পরে মঞ্চে ওঠেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘কখনও শতাব্দীর সঙ্গে লাগিয়ে দিচ্ছে কেষ্টকে। আবার আমার সঙ্গে অভিষেকের লাগিয়ে দিচ্ছে।’’ তিনি বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে দেন যে, দলে কারও সঙ্গে কারও লড়াই নেই। অভিষেকের বক্তব্যেও সেই ছোঁয়া ছিল। অভিষেক বলেন, ‘‘এই দলে কোনও লবি নেই। একটাই লবি। মমতার লবি। যিনি বুক চিতিয়ে লড়াই করবেন, বলবেন মমতা জিন্দাবাদ, তাঁকে দল সম্মান দেবে।’’
মমতা সাম্প্রতিক কালের ইডি ও সিবিআই তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘দেখানো হচ্ছে, ওর ঘরে এত টাকা পাওয়া গেল। কার টাকা, কিছু প্রমাণ হয়েছে কি? মলয় ফাইট করে বলে দিয়েছে সব মিথ্যা। ভাবছেন, ওকে জেলে পুরে বীরভূমের দুটো আসন জিতে নেবেন? সে গুড়ে বালি।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘সিবিআই ও ইডি চব্যচোষ্য খেয়ে ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে পড়ল। মলয়, ববি, অরূপ। অভিষেকের দু’বছরের বাচ্চাটাও ঘুরে এসেছে। কী দেশ আমরা দেখতে পাচ্ছি! রাজনীতিতে লড়াই করো, দেখে নিচ্ছি। ২০২১ সালে কী না করেননি! আমার পা ভেঙে চৌচির করে দিয়েছিল। এখনও ঠিক হয়নি। ভাবছে, কয়েক জনকে জেলে ঢুকিয়ে দিলে সবাই ভয় পেয়ে যাবে। আহত সিংহ কিন্তু বেশি ভয়ঙ্কর। আমাকে চমকালে আমি ধমকাই। ধমকালে গর্জাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy