ফাইল চিত্র।
ঘূর্ণিঝড়ের পরে পর্যালোচনা বৈঠকে সেচ দফতরের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সোমবার নবান্নের পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুললেন, খাল সংস্কারের টাকা কোথায় গেল?
এ দিন খাল সংস্কার এবং গঙ্গা দূষণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রশাসনের কর্তারা। অভিযোগ, গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় যে-সব সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি হয়েছিল, সেগুলির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। সেগুলিকে ফের সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। মমতা বলেন, “খালগুলিকে পলিমুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ করতে হবে। সব নোংরা গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়। কেন এটা হবে? কয়েক বছর আগেও ১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকাটা গেল কোথায়? সৎ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটা দক্ষ দল তৈরি করে বিষয়টি দেখতে হবে। যাঁরা কাজটা ঠিকঠাক করবেন, অথচ টাকা খাবেন না।”
মমতার নির্দেশ, জলের মতো আবর্জনারও ‘রিসাইক্লিং’-এর ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবকে পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দরকারে বিশ্ব দরপত্র ডেকে পরামর্শ নেবে সরকার। কলোনিগুলিতে বিজ্ঞানসম্মত নিকাশি ব্যবস্থা তৈরির পাশাপাশি হাওড়া ও ব্যারাকপুরে দু’টি মাস্টার প্ল্যান তৈরির জন্য পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, অর্থ দফতরের সঙ্গে কথা বলে এই পরিকল্পনা করতে হবে।
নজরদারির নির্দেশ। ত্রাণ এবং ক্ষতিপূরণ বিলির প্রক্রিয়ায় জেলাশাসক এবং পুলিশকে বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশ, যে সব এলাকায় ত্রাণ পৌঁছতে মুশকিল হচ্ছে, সেখানে পুলিশ নিজ উদ্যোগে তা পৌঁছনোর ব্যবস্থা করুক। ইয়াসের পরে যে সব ইটভাটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদেরও ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ত্রাণের জন্য কোনও জেলাশাসক যেন কার্পণ্য না করেন। কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, পুলিশ সুপারেরাও নজর রাখবেন। যেখানে প্রয়োজন, সেখানে দরকারে পুলিশও ত্রাণ পৌঁছে দিক। ত্রাণ বা খাবার জল নিয়ে যেন অভিযোগ না আসে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy