E-Paper

জেলার স্থানীয় দোকানে তৈরি হবে ‘দিঘার প্রসাদ’

মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সব বাড়ির কথা বললেও আদতে প্রত্যেকটি বাড়িতে হয়তো তা পৌঁছবে না।

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য , শান্তনু ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২৫ ০৮:৫৮
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পর্যটকদের ভিড়।

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পর্যটকদের ভিড়। —ফাইল চিত্র।

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ রাজ্যের পরিবারগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা বাস্তবায়িত করতে চূড়ান্ত রূপরেখা স্থির করে ফেলল নবান্ন। ‘দুয়ারে রেশনের’ আদলে এই প্রসাদ বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে। নবান্নের বার্তা পেয়ে জেলা প্রশাসনগুলি জানাচ্ছে, মিষ্টি তৈরি হবে জেলাতেই। জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদের ছোঁয়া থাকবে তাতে। বিতরণের কাজ ১৭ জুন থেকে শুরু করতে হবে জেলায় জেলায়। ২৭ জুন, রথযাত্রার দিন বিতরণ কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে হবে। কোনও কারণে বিলম্ব হলে ৪ জুলাই, উল্টোরথের দিনের মধ্যে শেষ করতেই হবে সেই কাজ। মোটা অঙ্কের অর্থও বরাদ্দ করা হয়েছে এই খাতে।

তবে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সব বাড়ির কথা বললেও আদতে প্রত্যেকটি বাড়িতে হয়তো তা পৌঁছবে না। জেলা প্রশাসনগুলির একাংশ জানাচ্ছে, জেলায় মোট পরিবারের একটি অংশের কাছে তা যাবে। স্থানীয় স্তরে কোনও চাহিদা থাকলে পাঠানো হবে সেখানেও। এক জেলা কর্তার কথায়, ‘‘যেমন, উত্তর ২৪ পরগনায় কমবেশি ১০ লক্ষ বাড়িতে মিষ্টির বাক্স পাঠাতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই জেলায় জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি। অর্থাৎ পাঁচজনের সদস্য ধরলে পরিবারের সংখ্যা অন্তত ২০ লক্ষ হওয়ার কথা।’’

নবান্ন সূত্রের খবর, গোটা রাজ্যের জন্য এত সংখ্যায় প্রসাদ সরাসরি পাঠানো সম্ভব নয়। তাই এলাকার মিষ্টির দোকানগুলিতে নির্ধারিত বিধি অনুযায়ী মিষ্টি তৈরি করাতে হবে। জেলাগুলিকে পাঠানো হবে কিছু পরিমাণ ‘আসল’ প্রসাদ। সেই প্রসাদের সামান্য অংশ ব্যবহারকরেই তৈরি করতে হবে একেকটি মিষ্টি। এক জেলা-কর্তার কথায়, ‘‘প্রসাদের ছোঁয়ায় তৈরি মিষ্টি বিতরণ করতে হবে।’’ প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, যে বাক্সে মিষ্টি পাঠানো হবে, তার নকশা তৈরি করবেনবান্নই। সেখান থেকেই জেলায় জেলায় বাক্স পাঠানো হবে। ফলে মনে করা হচ্ছে, তাতে সরকারের তরফে বিশেষ কিছু বার্তাও দেওয়াথাকতে পারে। নবান্ন যে বার্তা জেলাগুলিকে দিয়েছে, তাতে, মন্দিরের একটি ছবির সঙ্গে একটি পেঁড়া এবং একটি গজা রাখতে হবে একেকটি বাক্সে। গজা ও পেঁড়ার মাপও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। একেকটি মিষ্টির জন্য ১০ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থাৎ, বাক্সে দু’টি মিষ্টির জন্য মোট বরাদ্দ ২০ টাকা। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রসাদ খাতে বরাদ্দ প্রায় ৪০ কোটি টাকা। বাক্স তৈরির খরচ ধরলে তা আর কিছুটা বেশি হবে।

জেলাগুলিকে নবান্ন জানিয়েছে, বাক্স এবং মন্দিরের ছবি কলকাতা থেকে জেলায় জেলায় পাঠানোর কাজ শুরু হবে ১২ জুন থেকে। সরঞ্জাম মজুত করার জন্য ব্লক, পুরসভা এলাকায় হল বা ব্যাঙ্কোয়েট নির্দিষ্ট করতে হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

digha

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy