নৈহাটিতে দলীয় কর্মসূচিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।
পথে নেমেই বিজেপির ‘উত্থান’ মোকাবিলা করবে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে সেই বার্তাই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে দলের সব স্তরে মনোবল ধরে রাখতে জানিয়ে দিলেন, ২০২১ সালে রাজ্যে তৃতীয়বারও সরকার গঠন করবে তৃণমূলই। আরও নির্দিষ্ট করে এই বার্তা দিতেই আজ শুক্রবার ফের দলের শীর্ষনেতৃত্বের বৈঠক ডেকেছেন তিনি।
বিজেপির বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার নৈহাটির কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পরিবর্তনের পরে বলেছিলাম, বদলা নয়। বদল চাই। আমরা কিন্তু সিপিএমকে মার্ডার করিনি। একটু বেশিই করেছিলাম মনে হচ্ছে। আমি মানবিক একটু বেশিই করি। এখন বলছি সন্ত্রাসের বদলা নেব।’’ তবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে তিনি বলেন, ‘‘শান্তি ফিরিয়ে এনে অত্যাচার বন্ধ করব।’’ ভোটের আগে থেকেই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছিল ব্যারাকপুরে। শিল্পাঞ্চলের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘ট্রেড ইউনিয়নটা ভাল করে দেখা হয়নি। এখন দেখব। সাতদিনে বুঝে নেব, কত ধানে কত চাল।’’
ফল প্রকাশের পর গত শনিবার দলের প্রার্থী, জেলা সভাপতি ও রাজ্যস্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। সেদিনই ঠিক হয়েছিল, পরবর্তী বৈঠকে সংগঠন ও কর্মসূচি নিয়ে পরের বৈঠকে আলোচনা হবে। সেই মতো আজ এই বৈঠকে প্রার্থী ও জেলা সভাপতিদের উপস্থিতিতেই নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার ঠিক আগের দিনই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মীদের ঘরে ফেরাতে নৈহাটিতে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে বিজেপির হাতে দখল হয়ে যাওয়া একটি দলীয় অফিস চালু করেছেন। এখানে দলের মঞ্চ থেকেই বিজেপির মোকাবিলায় নিজের মনোভাব স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘‘আমি যদি বেঁচে থাকি আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্যে একটা আসনও বিজেপি পাবে না।’’
নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকলেও এই অঞ্চলে পুলিশের ভূমিকায় এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে প্রশাসনের একাংশ সম্পর্কেও নিজের অসন্তোষ গোপন করেননি তিনি। তা থেকেই স্পষ্ট, লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা সামলাতে ‘রক্ষণাত্মক’ হচ্ছে না তৃণমূল। বরং বিজেপির মোকাবিলায় প্রত্যক্ষ ভুমিকা নেওয়ার বার্তাই দিয়েছেন তিনি। দলের এই বৈঠকে জেলা নেতাদের সেই বার্তা আরও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনের পরপর মন্ত্রিসভায় কিছু রদবদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে সেই পরিবর্তনের অভিমুখ নিয়ে নির্দিষ্ট পরামর্শও দিতে পারেন তিনি। দল ও শাখা সংগঠনে আরও কিছু দায়িত্বে রদবদল নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy