E-Paper

উচ্চ প্রাথমিকে স্কুলে যোগ দিতে হয়রানি, সমাধানে নির্দেশিকা প্রকাশ করছে দফতর

চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, অসুবিধা নানাবিধ। যেমন অনেক স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বা পরিচালন সমিতির মেয়াদ ফুরিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সেই সব স্কুলে চাকরিপ্রার্থীরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র নিয়ে এলে তাঁদের নিয়োগপত্র দেবে কে?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:০৪

— প্রতীকী চিত্র।

উচ্চ প্রাথমিকের অনেক প্রার্থী সুপারিশপত্র নিয়ে স্কুলে যোগদান করতে গিয়ে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে বেশ কয়েক দিন ধরে অভিযোগ উঠছিল। সূত্রের খবর, এই অসুবিধা দূর করে কোন ক্ষেত্রে কী ভাবে সমাধান করতে হবে তার নির্দেশিকা প্রকাশ করতে চলেছে শিক্ষা দফতর। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিং শুরু হবে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে। এই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিংয়ের তালিকায় যাঁরা প্রতীক্ষায় আছেন তাঁদের কাউন্সেলিং হবে। তবে কাউন্সেলিংয়ের সূচি এখনও প্রকাশিত হয়নি।

চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, অসুবিধা নানাবিধ। যেমন অনেক স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বা পরিচালন সমিতির মেয়াদ ফুরিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সেই সব স্কুলে চাকরিপ্রার্থীরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র নিয়ে এলে তাঁদের নিয়োগপত্র দেবে কে? উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির। এই সমস্যার জন্য বেশ কিছু স্কুলে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা কাজে যোগ দিতে গিয়েও পারছেন না বলে অভিযোগ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষা দফতরের কর্তারা জানান, কোনও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি না থাকলে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জেলা স্কুল পরিদর্শক বা ডিআইকে জানাবেন। ডিআই কমিশনার অব স্কুল এডুকেশনের অনুমতি নিয়ে ওই প্রার্থীকে স্কুলে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেবেন। এখানে দেরি হওয়ার কথা নয়।

কোথাও আবার অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নবনির্মিত স্কুলে প্রশাসক না থাকায় কে নিয়োগপত্র দেবেন, সেই নিয়ে কোনও নির্দেশ জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে আসেনি। ফলে সেই সব স্কুলেও দেরি হচ্ছে। অনেক স্কুলে আবার শিক্ষক যোগ দিতে গিয়ে দেখছেন, সেই স্কুলে আগেই বদলির মাধ্যমে ওই বিষয়ের শিক্ষক একই রস্টারে আছেন। সমস্যা হচ্ছে সেখানেও। এ ছাড়াও প্রার্থীর নামের বানান ভুল বা স্কুলের নামের কোথাও ভুল থাকলেও চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক কর্তা বলেন, “আমাদের তরফ থেকে যেগুলি সংশোধনযোগ্য, সেগুলি সংশোধন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। বাকি সমস্যাগুলি আমরা শিক্ষা দফতরকে জানিয়েছি।” পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “ভুলগুলি সংশোধন করার বিষয়ে এসএসসি উদ্যোগী হলেও অনেক সময়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকের উদ্যোগের অভাবে যোগদানে দেরি হচ্ছে। জেলা স্কুল পরিদর্শককে আমরা আরও বেশি উদ্যোগী হতে আর্জি জানাচ্ছি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Upper Primary upper primary school School Recruitment Case Education Department

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy