মান্যা গুপ্তকে মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছেন মা (বাঁ দিকে)। আইসিএসইতে প্রথম স্থানাধিকারী সম্বিৎ মুখোপাধ্যায়য় — নিজস্ব চিত্র।
লক্ষ্য ছিল, নিজের স্কুলে প্রথম হবেন। সেজন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন। চেষ্টা সফল। শুধু স্কুল নয়, সারা দেশে আইএসসি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন মান্যা গুপ্ত। যদিও ফলাফল দেখে এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না মান্যার। কী করবেন বুঝে পারছেন না। তবে এর পর যে মনোবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করবেন, তা অষ্টম শ্রেণিতেই ঠিক করে ফেলেছিলেন কলকাতার হেরিটেজ স্কুলের এই ছাত্রী। আইসিএসই (দশম)-এ সারা দেশে প্রথম হয়েছে বর্ধমানের সম্বিৎ মুখোপাধ্যায়। তার স্কুল সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রধান শিক্ষক ফাদার জোসেফ সাবিয়াপ্পন মনে করেন, নিয়মিত উপস্থিতিই এগিয়ে দিয়েছে সম্বিৎকে।
মান্যা আইএসসি পরীক্ষায় ৪০০ নম্বরে ৩৯৯ পেয়েছেন। কলকাতার পঞ্চসায়রের বাসিন্দা মান্যা এখনও খবরটা বিশ্বাসই কর উঠতে পারছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘ফল ঘোষণার পরেও বার বার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করছিলাম, এই তোরা কত পেয়েছিস? ভাবছিলাম, আমার থেকে বেশি পায়নি তো! নম্বর দেখেও বিশ্বাস হচ্ছিল না।’’ তা বলে সারা দিন-রাত শুধু পড়াশোনা করেননি, সে কথাও জানালেন মান্যা। ভাল টেবিল টেনিস খেলেন তিনি। রাজ্যস্তরে (জুনিয়র) দিল্লির হয়ে খেলেছেন। বিতর্ক প্রতিযোগিতায়ও নিয়মিত অংশ নিতেন। রাজ্যস্তরে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। মান্যা জানিয়েছেন, এ সবের পাশপাশি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরেছেন, আড্ডা দিয়েছেন।
একই কথা জানিয়েছেন মান্যার মা শায়না গুপ্তও। তাঁর কথায়, ‘‘আশা করেছিলাম, মেয়ের পরীক্ষার ফল ভাল হবে। ভেবেছিলাম স্কুল বা শহর বা রাজ্যে প্রথম হবে। ও সব প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে।’’ তার পরেই তিনি আরও বলেন, ‘‘এমন নয় যে, সারা দিন ঘরে বসে পড়াশোনা করে যায়। বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে যেত, পার্টি করত। কিন্তু যখন পড়ত, মন দিয়ে করত।’’
আইসিএসই (দশম) পরীক্ষায় প্রথম সম্বিতের বাড়ি বর্ধমান শহরের পার্কার রোডে। তার স্কুল বর্ধমান সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের প্রধানশিক্ষক (ফাদার) মারিয়ান জোসেফ সাবিয়াপ্পন বলেন, ‘‘আমরা খুব খুশি। আমাদের ছাত্র সারা দেশে প্রথম হয়েছে। ও স্কুলে নিয়মিত আসত। পড়াশোনার বাইরেও অনেক কিছু করত। ভাল অ্যাঙ্করিং করে। পড়ুয়াদের বলতে চাই, নিয়মিত স্কুলে এসো। স্কুলে এসে শিক্ষকদের থেকে আরও কিছু শেখো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy