ফাইল চিত্র।
গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ব্রিগেডের সভামঞ্চে আব্বাস সিদ্দিকিকে ডাকা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ অনুষ্ঠান ‘অ-জানা কথা’য় এ কথা স্পষ্ট ভাবেই জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ব্রিগেড সমাবেশে আব্বাসের উপস্থিতি নিয়ে অত জল্পনা-আলোচনার কোনও অর্থই ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে একটি বড় জোটশক্তির উঠে দাঁড়ানোর বার্তাকে সরিয়ে দিয়ে বড় করে দেখানো হয়েছিল, কে কাকে কোলাকুলি করছে!
সান্ধ্য-আড্ডায় সেলিমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ব্রিগেডের ঘটনা নিয়ে তাঁর কোনও আক্ষেপ আছে কি না। তার জবাবে সিপিএম নেতা বলেন, ‘‘আমি কখনও কোনও ব্যাপারে রিগ্রেট (আক্ষেপ) নিয়ে চলি না। প্রত্যেক মানুষই নিজের মতো করে এক একটি ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেন। ওই দিন এমন কিচ্ছু ঘটেনি, যা নিয়ে এত রিয়্যাক্ট করতে হবে!’’ সেলিমের সংযোজন, ‘‘বাইরে একটা ইসলামোফোবিয়া (মুসলিম বিদ্বেষ) চলছে। সেই কারণেই আব্বাসকে ওই দিন ব্যক্তি হিসাবে দেখা হয়েছিল। বিজেপি আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনেকগুলো শক্তি জোট বাঁধছে, এটাই তো বার্তা হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা সরিয়ে দেখানো হল, কে কাকে কোলাকুলি করছে!’’
তবে, আব্বাসের সঙ্গে তাঁর কোলাকুলি নিয়ে বিরুদ্ধপ্রচার করে বিরোধী শক্তির লাভই হয়েছিল, তা মেনে নিয়েছেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কোলাকুলি প্রচার করে বাকিদের লাভই হয়েছে। কিন্তু এই কোলাকুলি করা মানেই মুসলমান? ইউরোপে তো হ্যান্ডশেক করা হয়। এক জন মুসলমানের সঙ্গে অন্য মুসলমানের দেখা হলে দু’হাত ধরে মুসাফা করে। হিন্দু বাঙালিরা হাত জোড় করে নমস্কার করে।’’ গোটাটাই ছক কষে করা হয়েছে বলে সেলিমের দাবি, ‘‘২০২১ সালের নির্বাচনে মোদী, মমতা আর ওয়েইসির ক্যানভাস রে়ডি ছিল। সেটা ভেস্তে যাওয়ায় গোটা রাগ আমার উপর এসে পড়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy