দাদার সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে সোমবার সন্ধেয় এক কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল ডেবরায়। ওই তরুণীর বাবা রাতেই ডেবরা থানায় স্থানীয় ছ’জন যুবকের বিরুদ্ধে মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্থানীয় ইমরান খান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মঙ্গলবার ইমরানকে মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হলে পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতকের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী কলেজ থেকে দাদার সঙ্গে টিউশন পড়তে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় পথে স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাঁর প্রতি কটূক্তি করে। কয়েকজন তাঁর হাত ধরে টানাটানিও করে। ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই তরুণীর দাদাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার পরেই সকলে পালায়। যদিও এলাকার বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যায় বছর বাইশের ইমরান।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘এলাকায় প্রতিদিন ওই যুবকেরা মেয়েদের ইভটিজিং করে। কেউ কিছু বলতে গেলেই অশান্তি বাড়ে। তাই ভয়ে সকলে চুপ করে থাকে। তবে এই ঘটনার পর সকলে প্রতিবাদ জানিয়ে একজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিশের এ বিষয়ে আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন।” এলাকায় পুলিশি টহলদারির দাবিও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, “বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় ইমরান খান, সামশেদ খান, আজাহার খান-সহ ছ’জন যুবক মেয়েকে কটূক্তি করছিল। মেয়ে সাড়া না দিয়ে চলে আসছিল। তা সত্ত্বেও ওরা মেয়ের হাত ধরে টানাটানি ও শ্লীলতাহানি করে। প্রতিবাদ করলে ছেলেকেও মারধর করা হয়। ওই যুবকদের শাস্তি চাই।”
অভিযোগের ভিত্তিতে ইমরানকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও বাকিদের এখনও খোঁজ মেলেনি। খড়্গপুরের এসডিপিও কার্তিক মণ্ডল বলেন, “ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েই মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনায় একজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকি পাঁচ জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এলাকায় টহলদারি আরও বাড়ানো হবে।”