প্রতীকী ছবি
খড়বোঝাই লরির সঙ্গে অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল দু’জনের। আহত হন ৭ জন। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে ডেবরার বালিচকে পূর্ত দফতরের অফিসের সামনে ডেবরা-সবং সড়কে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটগেড়িয়ার বাসিন্দা প্রহ্লাদ চক্রবর্তী (৩০) ও পিংলার প্রতাপচকের বাসিন্দা কমল আদিত্যের (৫৭) মৃত্যু হয়েছে। দু’জনেই অটোর যাত্রী ছিলেন। প্রহ্লাদ ডেবরা কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের আংশিক সময়ের শিক্ষক ছিলেন। কমল ছিলেন ডেবরার একটি ডায়গনেস্টিকস্ সেন্টারের কর্মী। বৃহস্পতিবার রাতে অটো ধরে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। প্রায় ১০ জন যাত্রী নিয়ে বালিচক রেলগেটের দিকে যাচ্ছিল অটোটি। তখনই উল্টো দিক থেকে আসা একটি খড় বোঝাই লরি অটোটিকে ধাক্কা মারে। লরিতে অতিরিক্ত খড় ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রহ্লাদের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান কমলও। আহতদের মধ্যে ২ জন ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার পরে বেপরোয়া যান চলাচলে ঠেকাতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালিচক রেলগেটে এখন উড়ালপুল তৈরির কাজ চলছে। তাই প্রায়ই যানজট হয়। তাই ওই এলাকায় যান চলাচলে গতি কম থাকে। তাই সময় বাঁচাতে ওই এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার পরে গাড়িগুলি বেপরোয়া গতিতে ছুটছে। এতেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের অভিযোগ তো আছেই। বালিচকের বাসিন্দা বেসরকারি সংস্থার কর্মী শুভঙ্কর হর বলেন, “বালিচকের যানজট পেরিয়েই অনেক গাড়ির গতি বেড়ে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। আমরা যাঁরা এই রাস্তার নিত্যযাত্রী তাঁরা আতঙ্কে রয়েছি।”
ডেবরা কলেজের ইতিহাসের শিক্ষক সৈকত চক্রবর্তীর ক্ষোভ, ‘‘সন্ধ্যার পরে অটো অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ করে। সবচেয়ে বিপজ্জনক হল খড়বোঝাই লরি। রাস্তায় আরও ট্রাফিক পুলিশ দরকার।” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy