ভরসন্ধ্যায় গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে এক বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী দুই নাবালকের বিরুদ্ধে। ‘নির্যাতিতা’র পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই নাবালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার ঘটনা।
গত শনিবার সন্ধ্যায় দুই নাবালক সন্তান এবং মা বাড়িতে ছিলেন। স্বামী পেশায় শ্রমিক। সকাল থেকে তিনি কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরিবারের দাবি অনুযায়ী, বাড়ির বাইরে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালিয়ে ঘরে ঢুকছিলেন বধূ। সেই সময় আচমকা দুই নাবালক বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তাদের একজন বধূর মুখ চাপা দিয়ে রাখে। সেই সময় দ্বিতীয় জন মহিলাকে ধর্ষণ করে। পরে মহিলার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে যেতেই দুই কিশোর দৌড়ে পালায়।
‘নির্যাতিতা’ জানান, অন্ধকারে পিছন থেকে ঘরে ঢুকে একজন তাঁকে জাপটে ধরেছিল। তিনি চিৎকার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তৎক্ষণাৎ মুখ চেপে ধরা হয়েছিল তাঁর। তিনি প্রতিরোধ করতে পারেননি। এক জন তাঁকে ধর্ষণ করার পর দ্বিতীয় জন তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ওই সময়ে ধস্তাধস্তি হয়। হাতের কাছে একটি ধারালো অস্ত্র পেয়ে তিনি অভিযুক্তদের দিকে ছুড়ে দিয়েছিলেন এবং প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার করেছিলেন। তখন দু’জন পালিয়ে যায়।
‘নির্যাতিতা’র স্বামী সন্ধ্যা নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পর পুরো ঘটনা জানার পরে পাঁশকুড়া থানায় দৌড়োন। গোটা ঘটনাটি লিখিত আকারে পুলিশে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শেষমেশ অভিযুক্তদের একজনকে আটক করে তারা। ওই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাশের গ্রাম থেকে দ্বিতীয় জনের খোঁজ মেলে। সোমবার দুই অভিযুক্তকে জুভেনাইল আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন:
‘নির্যাতিতা’র স্বামীর দাবি, বাড়ির পাশেই একটি ফাঁকা মাঠে নিয়মিত কিছু কিশোর এবং যুবক নেশা করেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করেও কাজ হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি। তিনি স্ত্রীর ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।