Advertisement
E-Paper

পুলিশের নথিতে ফাঁক, ধৃত ৩৫ তৃণমূল কর্মীর জামিন

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ধৃত সাঁকরাইলের ৩৫ জন তৃণমূল কর্মীকে শর্তাধীন জামিনে মুক্তি দিল ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল থানার পুলিশ। কিন্তু অভিযোগের স্বপক্ষে পুলিশের নথিপত্রে উপযুক্ত তথ্য না থাকায় শনিবার তিন মহিলা-সহ ৩৫ জনেরই জামিন মঞ্জুর করল আদালত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৬ ০১:২৮

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ধৃত সাঁকরাইলের ৩৫ জন তৃণমূল কর্মীকে শর্তাধীন জামিনে মুক্তি দিল ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল থানার পুলিশ। কিন্তু অভিযোগের স্বপক্ষে পুলিশের নথিপত্রে উপযুক্ত তথ্য না থাকায় শনিবার তিন মহিলা-সহ ৩৫ জনেরই জামিন মঞ্জুর করল আদালত।

অভিযুক্তদের আইনজীবী তপন চৌধুরী এ দিন আদালতে দাবি করেন, শাসক দলের এই কর্মীদের পুলিশই মারধর করেছে। অথচ জখম তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই পুলিশকে মারধর করার মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়ায় সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরি এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল ব্লক এলাকায় তৃণমূলের সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র-র গোষ্ঠীর সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ মাহাতোর গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। সোমনাথ-গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগে বিকাশ-গোষ্ঠীর লোকজন কুলটিকরি এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করেন। এরপর পুলিশ বাহিনী গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। পুলিশ বিকাশ-গোষ্ঠীর তিন মহিলা-সহ ৩৫ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির জামিন অযোগ্য ৩৫৩ নম্বর ধারা (পুলিশকে সরকারি কাজে বাধাদান ও মারধর) এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল মেন্টেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার অ্যাক্টের জামিন অযোগ্য ৯ নম্বর ধারা-সহ আরও কয়েকটি গুরুতর ধারায় মামলা রুজু করা হয়।

শনিবার দুপুরে অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী তপন চৌধুরী ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। শুনানির পরে বিচারক প্রসূন ঘোষ ৩৫ জনেরই জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে আদালত থেকে বেরিয়ে পম্পা টুডু, বন্দনা সেনাপতি, উত্তম মণ্ডল, তাপস মহাপাত্র-রা অভিযোগ করেন, “আমরা বিকাশ মাহাতোর অনুগামী। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করছি। ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্রই কলকাঠি নেড়ে আমাদের গ্রেফতার করিয়েছেন।”তৃণমূলের সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্রের অবশ্য দাবি, “প্রাক্তন কিছু সিপিএম ও বিজেপি-র লোকজন এখন তরমুজ-তৃণমূল হয়েছে। ওরা আইন বিরুদ্ধে কাজ করায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।”

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ মাহাতো ‘ব্যস্ত আছি’ বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

Jhargram TMC Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy