ডাইন অপবাদে এক প্রৌঢ়কে মারধরের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধেড়ুয়ার বক্সিবাঁধ থেকে সোমবার রাতে ওই চারজনকে ধরা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “ধেড়ুয়ায় একটি ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগ পেয়েই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” মারধরে জখম বছর পঞ্চান্নর পূর্ণ সরেন মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি।
গত মাসেই ডেবরায় ডাইনি অপবাদে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে ডেবরার ভরতপুরে। আবার গত মাসেই ডাইনি অপবাদে তিন মহিলাকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় জানগুরু-সহ সাতজনের ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে ঘাটাল আদালত। । সাড়ে তিন বছর আগের ওই ঘটনাটি দাসপুরের দুবরাজপুরের। এমন কড়া সাজার পরেও যে পিছিয়ে পড়া কিছু এলাকায় যে এখনও কুসংস্কারের প্রভাব রয়েছে, ফের ধেড়ুয়ার ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
সোমবার দুপুরে এক সূত্র মারফৎ পুলিশের কাছে খবর আসে, ধেড়ুয়ার বক্সিবাঁধের কাছে এক পরিবারের লোকজনকে ডাইন ঠাওরানো হয়েছে। পরিবারের একজনকে মারধরও করা হয়েছে। অভিযোগ, সুবল কিস্কু নামে স্থানীয় একজনের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। সুবলের সঙ্গে রয়েছে আরও তিনজন। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। যান ডেপুটি পুলিশ সুপার শ্যামল মণ্ডল, কোতোয়ালি থানার আইসি সুশান্ত রাজবংশী প্রমুখ। পুলিশ গিয়ে প্রহৃত পূর্ণবাবুর সঙ্গে দেখা করে। পূর্ণবাবু পুলিশকে আরও জানান, সুবলের নেতৃত্বে অত্যাচারের ভয়ে তাঁর স্ত্রী ফুলমণি সরেন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কয়েক সপ্তাহ আগে এলাকায় একজনের মৃত্যু হয়। তার পরেই মাতব্বররা রটিয়ে দেয়, এলাকায় ডাইন রয়েছে। তাই এই মৃত্যু। ওই মাতব্বরদের অন্যতম সুবল। সুবলরা পূর্ণ সরেনের পরিবারকে ডাইন ঠাওরায়। তারপর এই মারধর। সোমবার রাতেই সুবল-সহ চারজনকে ধরে পুলিশ। সচেতনতার অভাবে যে এ রকম ঘটনা ঘটছে, তা মানছে প্রশাসনের একাংশও। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘কিছু এলাকায় কুসংস্কার রয়েছে। ওই সব এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর সব রকম চেষ্টা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy