Advertisement
E-Paper

মুখ্যমন্ত্রীকে চার হাজার নালিশ

জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ওই সেলে কোনও অভিযোগ পৌঁছনোর পরে জেলার কাছে ‘অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট’ (এটিআর) তলব করা হয়। সেখানে সংশ্লিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সেটা জানাতে বলা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০১:২৬
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র

শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকেই প্রায় ৪ হাজার অভিযোগ গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের ‘গ্রিভান্স অ্যান্ড রিড্রেসাল সেল’-এ। মানুষের মন বুঝতে কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নবান্নে ওই সেল খোলা হয়েছে। টোল ফ্রি ফোন নম্বরের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ই-মেল আইডি ও হোয়াটস্অ্যাপ নম্বর। তবে অভিযোগের নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের একাংশের ঢিলেমি রয়েছে বলে নালিশ অভিযোগকারীদের একাংশের।

জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ওই সেলে কোনও অভিযোগ পৌঁছনোর পরে জেলার কাছে ‘অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট’ (এটিআর) তলব করা হয়। সেখানে সংশ্লিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সেটা জানাতে বলা হয়। ওই সূত্রে খবর, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত নবান্ন হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩,৮১৬টি অভিযোগ এসেছে। তার মধ্যে ২,৩১৯টির ক্ষেত্রে জেলা থেকে ‘অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট’ পাঠানো হয়েছে। বাকি অভিযোগগুলি এখনও পড়েই রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ৩,৮১৬টি অভিযোগের মধ্যে ৩,৭৬৬টি অভিযোগই এসেছে নভেম্বরের মধ্যে। বেশিরভাগ অভিযোগই রাস্তা সংক্রান্ত। এছাড়া সেতু, সরকারি প্রকল্পের ঘর, পেনশন, ভাতা, স্কলারশিপ, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, জাতিগত শংসাপত্র, পুলিশি নিস্ক্রিয়তা প্রভৃতি নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগও এসেছে।

মাস তিনেক আগে এই পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় এক প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে সরকারি কাজে দেরি হলে তিনি সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করবেন না। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে যে তাঁর কাছে অভিযোগ বেশি যাচ্ছে তাও জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরেও অভিযোগের নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ঢিলেমি কেন? জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের আশ্বাস, ‘‘কোথায় কত অভিযোগ পড়ে রয়েছে, কেন পড়ে রয়েছে, সে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তিনি জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই পুরো পদ্ধতিকে অনলাইন করা হয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। রাস্তাঘাট, সরকারি প্রকল্পের ঘর নিয়েও কিছু অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলির একে একে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। সমস্যাগুলিরও সুরাহা করা হচ্ছে।’’

CM Mamata Banerjee Grievance Cell
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy