তুতো বোনের সঙ্গে জোর করে ‘ঘনিষ্ঠ’ হতে গিয়ে পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীদের মারে মৃত্যু যুবকের। বুধবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা এলাকায়। পিটিয়ে মারার ঘটনায় মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত এবং ‘নির্যাতিতা’র বাড়ি পাশাপাশি। মঙ্গলবার রাতে সকলের অজান্তে ২৮ বছরের সুশান্ত দাস (নাম পরিবর্তিত) কাকার বাড়িতে ঢোকেন। অভিযোগ কাকুর নাবালিকা মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন তিনি। তবে ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকারে তাঁর মা-ও আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করেন। সঙ্গে সঙ্গে কাকার বাড়ি থেকে দৌড়ে বাইরে পালিয়ে যান যুবক।
বুধবার সকালে পরিবার এবং প্রতিবেশীরা এই ঘটনার কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে যান। দুপুরে সুশান্ত বাড়ি ফেরা মাত্র আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মারধরের পর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সুশান্তের শারীরিক অবস্থা দেখে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঘটনাক্রমে হাসপাতালে নিয়ে গেলে যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় মা থানায় অভিযোগ জানান। তার প্রেক্ষিতে আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “এক যুবকের বিরুদ্ধে কুকর্ম করার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়েরা তাঁকে মারধর করেন। মৃত্যু হয় ওই যুবকের। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আট জন গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ তদন্ত করছে।”