Advertisement
E-Paper

Suicide: পরিণতি পায়নি প্রেম, কোলের শিশুকে ফেলে যুবককে নিয়ে আত্মঘাতী ভগবানপুরের গৃহবধূ

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামণি ভগবানপুরের বাবিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আর প্রশান্তর বাড়ি পাশের গ্রাম পশ্চিম ঘোষপুরে।

সোনামণি প্রধান এবং প্রশান্ত সামন্ত।

সোনামণি প্রধান এবং প্রশান্ত সামন্ত। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২২ ১৪:০১
Share
Save

কয়েক বছর আগে পরিবারের চাপে প্রেমিককে ছেড়ে প্রতিবেশী এক যুবককে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন অষ্টাদশী। তবে যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন দু’জনেই। সেই প্রেমের টানাপড়েনে অবশেষে আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানার সুবোধপুরের শ্মশান থেকে উদ্ধার হয়েছে যুগলের ঝুলন্ত দেহ। মৃতদের নাম সোনামণি প্রধান (২৬) এবং প্রশান্ত সামন্ত (২৭)। সোনামণির বছর তিনেকের একটি সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামণি ভগবানপুরের বাবিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আর প্রশান্তর বাড়ি পাশের গ্রাম পশ্চিম ঘোষপুরে। বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে বেকার প্রশান্তর সঙ্গে বিয়েতে মত ছিল না সোনামণির পরিবারের। এর পর পরিবারের চাপে পড়ে খাগা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় সোনামণির। ওই যুবক কর্মসূত্রে মুম্বইতে থাকেন। বিয়ের পর সোনামণি স্বামীর সঙ্গে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে কয়েক বছর থাকার পর পুত্রসন্তানকে নিয়ে মাস চারেক আগে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। বাড়ি ফেরার পর প্রশান্তর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বাড়ে। তবে সম্প্রতি স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার সময়ও এগিয়ে আসছিল।

এর মধ্যেই দিন দুয়েক আগে বাবিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান সোনামণি। শনিবার রাতে সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। অনেক খোঁজাখুজির পরেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। অবশেষে রবিবার বেলার দিকে স্থানীয়রা যুগলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান নির্জন শ্মশানে। ভগবানপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

Suicide Death Investigation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy