দুই অজ্ঞাতপরিচয় কিশোরের দেওয়া চকলেট খেয়ে স্কুল চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ল প্রাথমিকের ১১ জন পড়ুয়া। কোলাঘাটের উত্তর নারায়ণপাকুড়িয়া মহেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার এই ঘটনায় রীতিমতো রহস্য তৈরি হয়েছে। কারা, কী উদ্দেশ্যে এই চকলেট পড়ুয়াদের দিয়েছিল তা খোঁজ করতে শুরু করেছে পুলিশ।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কোলাঘাট ১ চক্রের উত্তর নারায়ণপাকুড়িয়া মহেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র স্কুলে যাওয়ার সময় পথে তাকে একটি নামী ব্র্যান্ডের চারটি চকলেট দেয় দু'জন অজ্ঞাতপরিচয় কিশোর। ওই ছাত্রের দাবি, তাদের মধ্যে এক কিশোর তাকে জানিয়েছিল যে, জন্মদিন উপলক্ষে সে চকলেট বিলি করছে। ওই কিশোর স্কুলে গিয়ে তার সহপাঠীদের মধ্যে চকলেট ভাগ করে দেয়, নিজেও খায়।
ক্লাস চলাকালীন তাদের মধ্যে তিন জন পড়ুয়া বমি করতে শুরু করে। এরপর আরও ৮ জনের বমি ভাব, মাথাধরর মতো উপসর্গ দেখা যায়। শিক্ষকেরা ১১ জন পড়ুয়াকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকলেই সুস্থ হয়। জানা গিয়েছে, চকলেটগুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল। এলাকায় মেডিক্যাল দল যায়। কোলাঘাট থানার পুলিশও আসে। কিন্তু খোঁজ মেলেনি অভিযুক্ত দুই কিশোরের।
তমলুকের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, ‘‘মেয়াদ উত্তীর্ণ চকলেট শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে সমস্ত পড়ুয়াই সুস্থ রয়েছে।’’ কোলাঘাটের বিএমওএইচ শাম্ব ভৌমিকের কথায়, শিশুরা ভাল আছে। আমরা ওদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেছি।’’
উত্তর নারায়ণপাকুড়িয়া মহেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন রাউৎ বলেন, "স্কুল চলাকালীন তৃতীয় শ্রেণির ১০ জন এবং দ্বিতীয় শ্রেণির এক জন পড়ুয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। জানতে পারি যে, ওরা অচেনা দুই কিশোরের দেওয়া চকলেট খেয়েছিল। পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে।" কোলাঘাট ১ চক্রের ভারপ্রাপ্ত অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুপ্রতিম গায়েনের কথায়,"অচেনা কারও দেওয়া খাবার যাতে পড়ুয়ারা না খায় তার জন্য ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করতে বলা হয়েছে শিক্ষকদের।"
পশু বিলি
ভগবানপুর: আর্থিক ভাবে সাবলম্বী করতে গবাদি পশু দেওয়া হল কৃষকদের। ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণী সম্পদ বিভাগের উদ্যোগে মঙ্গলবার এলাকার ১২জন কৃষককে বাছুর দেওয়া হয়। গরু পালন করে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি হয়েছে বলে জানান প্রকল্প অফিসার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)