উন্মাদনা। ডিসেম্বরের এক রাতে তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা দেখেছিলেন, দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। ২০০৮ সালে। মধ্যরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে। মাঠেও তাঁকে দেখার উন্মাদনা ছিল প্রবল। সাক্ষী ছিলেন মেদিনীপুরের মহাতাবপুরের বাসিন্দা তথা মোহনবাগান ক্লাবের সদস্য, বিশ্বজিৎ বসু। মারাদোনা সেই সফরে যান মোহনবাগান মাঠেও। বিশ্বজিতের কথায়, ‘‘তখন মারাদোনার আসার খবরটাই বিশ্বাস হচ্ছিল না।’’
বন্ধু বিকাশ বসুকে নিয়ে মাঠে যান বিশ্বজিৎ। স্বপ্নের নায়ক দর্শনের স্মৃতিচারণে তিনি বলেন, ‘‘মারাদোনা মাঠে ঘুরতে ঘুরতে দর্শকের দিকে দু’হাত তুলে সম্মান জানাচ্ছিলেন। আর মাঝে মাঝে ডান হাতের মুঠিটা বুকের বাঁ দিকে ঠুকে বোঝাতে চাইছিলেন, আপনারা আমার হৃদয়ে থাকবেন।’’ আরেকটি দৃশ্যও বিশ্বজিৎ ভুলতে পারেননি। মাঠের মাঝখান থেকে শট মেরে বল গ্যালারিতে পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন। ওই বলে মারাদোনা সই ছিল।
মহিষাদলের সুকুমার ভৌমিক ১৯৭৭ সালে পেলেকে দেখতে কলকাতায় যান। ২০০৮-এ মারাদোনাকেও দেখেছেন। তাঁরও স্মৃতি, বাঁ-পায়ে শট মেরে গ্যালারিতে বল পাঠানোর দৃশ্য। মহিষাদলের সুদর্শন পন্ডা ২০০৮ সালে কল্যাণীতে বিপিএড পড়তেন। কলেজ থেকে চারটি টিকিট নিয়ে সল্টলেকে যান। তিনি বলেন, ‘‘মারাদোনাকে সামনে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা কথায় বোঝানো যাবে না।’’