নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনে অভিযুক্ত অধরাই

নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের চব্বিশ ঘণ্টা পরে গ্রেফতার হল না অভিযুক্ত। শনিবার রাতে ডেবরার বাসিন্দা আট বছরের চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়ি নিয়ে গিয়ে এক বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত বছর আঠাশের যুবক সঞ্জয় দোলুই ওই নাবালিকার পাশের গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনা দিন রাতেই ওই বালিকার বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির কাছেই মৃতের বাবার চোলাই মদের ব্যবসা রয়েছে। অভিযোগ, সেই চোলাইয়ের ঠেকে সঞ্জয়ের যাতায়াত ছিল। দীর্ঘদিন যাতায়াতের সূত্রে ওই বালিকার সঙ্গেও সঞ্জয়ের পরিচিতি তৈরি হয়। প্রায়ই সঞ্জয় চকোলেট এনে ওই বালিকাকে দিত।

আগেই সঞ্জয়ের মা মারা গিয়েছেন। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় সঞ্জয় অন্য বাড়িতে থাকে। বছর কয়েক আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় সঞ্জয়ের। অভিযোগ, তারপর থেকেই সঞ্জয় দিনরাত মদ্যপান করত। ঘটনার দিন সঞ্জয় চকোলেট না নিয়েই ঠেকে যায়। তখন ওই নাবালিকা সঞ্জয়ের কাছে চকোলেট চায়।

অভিযোগ, সেই সময় সঞ্জয় ওই নাবালিকাকে চকোলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে সাইকেলে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতেই ধর্ষণের পরে ওই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে সঞ্জয় খুন করে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহের পাশ থেকে একটি বালিশ পাওয়া গিয়েছে। ওই বালিশ দিয়েই শ্বাসরোধ করা হয় বলে পুলিশের অনুমান। অভিযোগ, এরপরে নাবালিকার দেহে চট চাপা দিয়ে বাড়িতে তালা লাগিয়ে চম্পট দেয় সঞ্জয়।

রাত হয়ে গেলেও ওই নাবালিকা না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন পরিজনেরা। স্থানীয়রা সঞ্জয়ের বাড়ি গিয়ে দেখেন দরজায় তালা ঝুলছে। জানালা দিয়ে ঘরের ভিতরে ওই নাবালিকার দেহ দেখতে পায় এলাকার বাসিন্দারা। মৃতের বাবার অভিযোগ, ‘‘আমার সঙ্গে বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে সঞ্জয় এই কাজ করবে ভাবতে পারিনি। আমি ওঁর ফাঁসি চাই।”

লুকিয়ে চোলাইয়ের ঠেক চালানোই কাল হল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এলাকার বাসিন্দা দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, “আমরা ওই চোলাই ঠেকের বিরুদ্ধে। এরআগে আমরা ঠেক ভেঙেও দিয়েছিলাম।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘আদিবাসী ওই পরিবার গোপনে চোলাইয়ের কারবার চালাচ্ছিল। ওই ঠেকের কারণেই তো মেয়েটার জীবন গেল। আশা করছি, এ বার ওঁর বাবার বোধোদয় হবে।”