Advertisement
E-Paper

বিয়ের খবর পেয়ে ছুটলেন কর্তারা

কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য উদ্‌যাপনের জন্য মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হলে এ দিন দুপুরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। অনুষ্ঠানে নাবালিকা বিয়ে বন্ধের বার্তা দিতে ‘রূপার মুক্তি’ নাটক মঞ্চস্থ করেন ঝাড়গ্রামের নাট্যদল ‘কুরকুট’।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭ ১০:০০
বার্তা: কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য উদ্‌যাপনে নাটক। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

বার্তা: কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য উদ্‌যাপনে নাটক। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য উপ্‌যাপনের দিনই খবর পেয়ে নাবালিকা বিয়ে বন্ধে ছুটতে হল প্রশাসনিক আধিকারিকদের। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকার বিয়ে ঠিক হয়েছিল পাঁচখুরির বনপুরা গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে। শুক্রবার দুপুরে খবর পেয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা ওই নাবালিকার বাড়ি গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন।

কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য উদ্‌যাপনের জন্য মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হলে এ দিন দুপুরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। অনুষ্ঠানে নাবালিকা বিয়ে বন্ধের বার্তা দিতে ‘রূপার মুক্তি’ নাটক মঞ্চস্থ করেন ঝাড়গ্রামের নাট্যদল ‘কুরকুট’।

অনুষ্ঠানের মাঝেই খবর আসে, মেদিনীপুর শহরে এক নাবালিকার বিয়ে ঠিক হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ-সহ শিশু সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা ওই নাবালিকার বাড়িতে যান। বাড়ির লোকের কাছে ওই নাবালিকার বয়সের প্রমাণ পত্র দেখতে চান তাঁরা। পরিজনেরা দাবি করেন, বৃষ্টির জলে জন্মের শংসাপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকদের চাপে ওই কিশোরীর মা মেয়ের স্কুলে গিয়ে মাধ্যমিকের রেজিষ্ট্রেশনের নথি নিয়ে আসেন। তা থেকেই জানা যায়, মেয়েটির বয়স সতেরো বছর দু’মাস।

কিশোরীটির বিয়ের বয়স হয়নি দেখে প্রশাসনিক আধিকারিকরা নাবালিকার পরিজেনেদের বোঝান, কম বয়সে মেয়ের বিয়ে দিলে অনেক অসুবিধা রয়েছে। বাড়ির লোকের জেল থেকে জরিমানাও হতে পারে। সব কিছু শুনে বাড়ির লোকেরা বিয়ে বন্ধের সম্মতি দেন। মেয়ের আঠারো বছর বয়স না হলে বিয়ে দেবেন না মুচলেকাও লিখে দেন নাবালিকার মা। পুলিশের পক্ষ থেকেও পাত্রের বাড়ির লোকেদের ডেকে পাঠানো হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর অনিল দলবেরার উপস্থিতিতে থানায় বসে পাত্রপক্ষের লোকেরা জানান, মেয়ের আঠারো বছর বয়স হলে তবেই বিয়ে হবে।

সচেতনতার অভাবেই কি নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করা যাচ্ছে না? অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) মধুসূদন চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘সামাজিক ও আর্থিক অবস্থার কথা ভেবেই মানুষ সব জেনেও এমন সিধান্ত নিচ্ছেন। সচেতনতা বাড়ানোর আরও চেষ্টা করা হবে।’’ জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সন্দীপ দাস বলেন, ‘‘গ্রামের সংসদ ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা কমিটি গড়ে তোলা হচ্ছে। তারাই সংসদ ভিত্তিক সচেতনতা বাড়ানো কাজ করবে।’’

minor marriage Kanyashree কন্যাশ্রী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy