Advertisement
E-Paper

মমতার নজর, তবু দ্বন্দ্ব

তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর থানার শীর্ষা পঞ্চায়েতের বহড়া গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী ভোম্বল মিদ্যা (৪৮)-র মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ির সামনেই শ্যালো পাম্পের ঘর থেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০২:৪০
বিদায়বেলায়: জেলা সফর শেষে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

বিদায়বেলায়: জেলা সফর শেষে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

কেশপুর যে তাঁর নজরে থাকে, সাম্প্রতিক জেলা সফরেও বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই কেশপুরের দামোদরচকে খুন হন দু’জন। সেই প্রসঙ্গ তুলেই মঙ্গলবার খড়্গপুরের প্রশানিক বৈঠকে কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহাকে নিজের এলাকা ভাল ভাবে দেখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

তার একদিন পরেই সেই কেশপুরই ফের অশান্ত হল তৃণমূলের অন্দরে কোন্দলের জেরেই। নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে মাথা ফাটল এক তৃণমূল কর্মীর। বৃহস্পতিবার পৃথক একটি ঘটনায় শ্যালো পাম্পের ঘর থেকে এক তৃণমূল কর্মীর গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সেই ঘটনায় অবশ্য কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

কেশপুরের বিকলচক এলাকায় বুধবার রাতে তৃণমূলের এক সভা থেকে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল বাধে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সভায় তৃণমূল কর্মী শেখ নাসিম আলিকে দলের মিছিল-মিটিংয়ে যেতে বলা নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। নাসিম প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের অনুগামী। সভা ডেকেছিল বর্তমান ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠীর অনুগামীরা। অভিযোগ, সভাতেই নাসিমকে মারধর করা হয়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। রাতেই তাঁকে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়। তবে গুরুতর জখম অবস্থায় গভীর রাতে নাসিমকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠীর অবশ্য দাবি, ‘‘বিকলচকে এ রকম কোনও ঘটনার খবর জানা নেই।’’ তবে কেশপুরের বিধায়ক শিউলি মানছেন, ‘‘বিকলচকে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা কিছু হয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী কেশপুরের প্রতি নজর দিতে বলার পরেও কেন গোলমাল? শিউলির জবাব, ‘‘প্রশাসনিক বৈঠকের পরে আমার শরীরটা ভাল নেই। আমি কালই কেশপুর যাব।’’

তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর থানার শীর্ষা পঞ্চায়েতের বহড়া গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী ভোম্বল মিদ্যা (৪৮)-র মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ির সামনেই শ্যালো পাম্পের ঘর থেকে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে এলাকায় শোরগোল পড়ে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শ্যামল আচার্যের দাবি, ‘‘তাঁর গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া ছিল। মনে হয় মেরে গামছার ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ সে ক্ষেত্রে বিজেপি-র দিকেই নিশানা তৃণমূলের।

বিজেপি অবশ্য ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ অস্বীকার করেছে। ওই ঘটনায় পুলিশের কাছে এখনও কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি। তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি উত্তম বলেন, ‘‘ভোম্বল মিদ্যা নামে একজনের গলায় গামছা জড়ানো মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা, না খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’

TMC Conflicts Mamata Banerjee Jhargram
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy