Advertisement
E-Paper

গাড়ির গতিতে রাশ নেই কেন, ফুঁসছে ভাদুতলা

পথ দুর্ঘটনায় দুই স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল পুলিশ-প্রশাসনকে। শালবনির ভাদুতলায় বৃহস্পতিবার সকালে এই দুর্ঘটনায় ভাদুতলা হাইস্কুলের দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর পরে সামনে আসে স্থানীয়দের অসন্তোষ।

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৬
প্রহৃত: মেদিনীপুর মেডিক্যালে আইসি বিশ্বজিৎ সাহা। নিজস্ব চিত্র

প্রহৃত: মেদিনীপুর মেডিক্যালে আইসি বিশ্বজিৎ সাহা। নিজস্ব চিত্র

পথ দুর্ঘটনায় দুই স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল পুলিশ-প্রশাসনকে। শালবনির ভাদুতলায় বৃহস্পতিবার সকালে এই দুর্ঘটনায় ভাদুতলা হাইস্কুলের দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর পরে সামনে আসে স্থানীয়দের অসন্তোষ। অভিযোগ, এলাকায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই। দুর্ঘটনা ঘটলে দু’-চারদিন নজরদারি বাড়ানো হয়। তারপর যে কে সেই। স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত রায়, রেখা দাসদের ক্ষোভ, “পুলিশ-প্রশাসন তৎপর না হলে দুর্ঘটনায় রাশ টানা সম্ভব নয়।” ভাদুতলা হাইস্কুলের এক শিক্ষকও বলছিলেন, “দু’টি প্রাণ অকালে ঝরে গেল। পুলিশ- প্রশাসনের উচিত, এই এলাকায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা।”

‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে প্রচারের অন্ত নেই পুলিশের। অথচ জাতীয় সড়কে নজরদারি বা গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। কখনও প্রাণহানি হচ্ছে। কখনও মানুষজন জখম হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়েন শালবনি থানার আইসি বিশ্বজিৎ সাহা। তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে তিনি জখমও হন। এ ক্ষেত্রে অবশ্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেলা পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের কথায়, “দুর্ঘটনার পরে জখমদের উদ্ধার করতে আইসি গিয়েছিলেন। অথচ তাঁকে মারধর করা হল। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, “ওখানে ট্রাফিক ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। স্পিড ব্রেকার, ব্যারিকেড রয়েছে। আরও উন্নতির চেষ্টা চলছে।”

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা ‘ব্ল্যাক স্পট’ হিসেবে চিহ্নিত। শালবনির এই এলাকা তার অন্যতম। জেলা পুলিশের এক কর্তার আশ্বাস, “এ বার ‘ব্ল্যাক স্পট’- এ আরও বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হবে।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “পথ দুর্ঘটনা কমাতে গেলে সকলকে সচেতন হতে হবে। গাড়ি চালকদেরও সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।” এ দিনের ঘটনায় সামনে এসেছে অটোর নিয়ম না মানার দিকটিও। একটি অটোতে যেখানে চারজনের বসার কথা, সেখানে এই অটোতে ছিল বারোজন পড়ুয়া। এ দিনের দুর্ঘটনায় জখম সুমনা রাণা, শুভজিৎ রুইদাসেরা মেদিনীপুর মেডিক্যালের শয্যায় শুয়ে বলছিল, “হঠাৎ অটোটা উল্টে গেল। ছিটকে পড়লাম। তারপর কিছু মনে নেই।’’

এ দিন ভাদুতলা হাইস্কুলে ইউনিট টেস্ট ছিল। দুর্ঘটনার পরে পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়।

Street accident
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy