ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাস্তায় অবরোধ। — নিজস্ব চিত্র।
চিকিৎসার গাফিলতিতে এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে দাসপুরের নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালাল পরিজনেরা। চিকিৎসক ও নার্সিংহোম মালিককে গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়ক অবরোধও করেন মৃতের আত্মীয়েরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলতে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। অবরোধ তুলতে বাধা দেওয়া হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। মৃতের পরিজনেরা ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ উভয়েই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাজে বাধা ও নার্সিংহোম ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে আটকও করেছে। পুলিশ জানিয়েছে,অভিযোগোর ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঘাটাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে দাসপুর থানার গৌরার বাসিন্দা মধুমিতা জানা (২২) প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। রাতেই মধুমিতাদেবী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বুধবার দুপুরের পর থেকেই পেটের যন্ত্রণা শুরু হয় মধুমিতাদেবীর। মৃতার দাদা লোকেশ সাঁতরার অভিযোগ, “দুপুরের পর থেকেই বোনের পেটের যন্ত্রণা শুরু হয়। কিন্তু নার্সিংহোম থেকে বলা হয়, অ্যাসিড থেকে এ রকম হচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাতে বোনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। তখন বোনকে কলকাতায় রেফার করে দেয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। কলকাতা যাওয়ার পথেই বোনের মৃত্যু হয়।” লোকেশবাবু বলেন, “চিকিৎসার ত্রুটিতেই বোনের
মৃত্যু হয়েছে।” যদিও নার্সিংহোমের মালিক বলরাম সাউয়ের দাবি, “চিকিৎসার কোনও গাফিলতি হয়নি। সাধারণ ভাবেই প্রসব হয়েছিল।’’ তাঁর দাবি, ‘‘রোগীর লিভারের সমস্যা ছিল। সেটা বলা হয়নি। চিকিৎসা শুরু করেছিলাম। ওই রোগীর চিকিৎসার জন্য যে পরিকাঠামো প্রয়োজন, তা আমাদের নেই। প্রাথমিক চিকিৎসা করেই তাঁকে রেফার করা হয়।” বৃহস্পতিবার সকালে মধুমিতাদেবীর মৃত্যুর খবর পেয়েই নার্সিংহোমে ভিড় করেন মৃতার পরিজনেরা। অভিযোগ, নার্সিংহোমেও ভাঙচুর চালায় তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy