Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Adoption

Adoption: মার্কিন মুলুকে নতুন ঘর পেল পাপিয়া

ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়া এলাকার নিবেদিতা গ্রামীণ কর্মমন্দিরের দত্তক হোমের এক খুদে আবাসিককে দত্তক নিলেন এক মার্কিন দম্পতি।

মার্কিন দম্পতির সঙ্গে ছোট্ট পাপিয়া। বুধবার মানিকপাড়ার দত্তক হোমে।

মার্কিন দম্পতির সঙ্গে ছোট্ট পাপিয়া। বুধবার মানিকপাড়ার দত্তক হোমে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৫২
Share: Save:

সাড়ে তিন বছরের পাপিয়া পেল নতুন ঘর। তবে দেশে নয়, সুদূর মার্কিন মুলুকে। ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়া এলাকার নিবেদিতা গ্রামীণ কর্মমন্দিরের দত্তক হোমের এই খুদে আবাসিককে দত্তক নিলেন এক মার্কিন দম্পতি। বুধবার বিকেলে আশ্রমে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পাপিয়াকে তার পালক বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিলেন হোম কর্তৃপক্ষ। হস্তান্তর সম্পাদনের সময়ে হাজির ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য মৌসুমী হাজরা ও ঝাড়গ্রাম জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের প্রোটেকশন অফিসার (ইনস্টিটিউশন কেয়ার) বিশ্বজিৎ সাউ।

নিবেদিতা গ্রামীণ কর্মমন্দিরের সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল লালগড়ের ঝিটকার জঙ্গলে রুটিন তল্লাশি চালানোর সময়ে শিশুটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করেছিল সিআরপি’র কোবরা বাহিনী। শিশুটির শরীরে সেপ্টিসেমিয়া হয়ে গিয়েছিল। ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধী‌ন থাকার পরে পশ্চিম মেদিনীপুর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির নির্দেশক্রমে শিশুটির ঠাঁই হয় ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়ার নিবেদিতা গ্রামীণ কর্মমন্দিরের দত্তক হোমে। হোম কর্তৃপক্ষ শিশুটির নাম দেন পাপিয়া। অথরাইজড ফরেন অ্যাডপশন এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইনে পাপিয়াকে দত্তক নেওয়ার জন্য আমেরিকার আলাবামার জন রুশিং স্টুয়ার্ট ও তাঁর স্ত্রী মেরিডিথ গ্যাস্টন স্টুয়ার্ট আবেদন করেছিলেন। ওই দম্পতির দুই ছেলেমেয়েও রয়েছে। মেরিডিথ জানাচ্ছেন, পাপিয়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হওয়ায় তাঁরা শিশুটিকে উপযুক্ত ভাবে মানুষ করার জন্য দত্তক নিয়েছেন। সব দিক খতিয়ে দেখার পরে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের অধীন সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটির প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র মেলে।

এরপর স্টুয়ার্ট দম্পতি বুধবার মানিকপাড়ার হোমে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে পাপিয়াকে দত্তক নেন। নতুন বাবা-মায়ের সঙ্গে মার্কিন মুলুকে যাওয়ার আগে পাপিয়ার নাম হয়েছে ক্যাথরিন পাপিয়া স্টুয়ার্ট। সরকারি নিয়ম মেনে নতুন নামেই পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে পাপিয়ার। মানিকপাড়ার এই হোম থেকে এর আগে তিনটি অনাথ শিশু স্পেনে ও আমেরিকায় নতুন ঘর পেয়েছে। দেবাশিস জানান, সেন্ট্রাল অ্যাডপসন রিসোর্স অথরিটির তত্ত্বাবধানে অথরাইজড ফরেন অ্যাডপসন এজেন্সি’র মাধ্যমে আগামী এক বছর দত্তক নেওয়া বাবা-মায়ের কাছে পাপিয়া কেমন রয়েছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ভারতীয় কোনও দম্পতি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পাপিয়াকে দত্তক নিতে এগিয়ে আসেননি। অবশেষে এগিয়ে এলেন মার্কিন দম্পতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Adoption usa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE