E-Paper

ইচ্ছে মতো চুল ছাঁটছে সেলুন! সটান থানায়

বছর দুয়েক আগে একটি ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪ ০৮:০৮
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

চুলের ছাঁট মনের মতো হচ্ছে না কিছুতেই। বুঝিয়ে বলে লাভ হয়নি। কড়া সুরেও ফল মেলেনি। অগত্যা সেলুন মালিকের বিরুদ্ধে থানার দ্বারস্থ হলেন ক্ষীরপাইয়ের যুবক। তাঁর নালিশ ছিল, সেলুনে চুল কাটতে গেলে ইচ্ছাকৃতভাবে চুল ছোট- বড়, পাতলা- ঘন করে দেওয়া হচ্ছে! কখনও ওপরের দিকে বেশি তুলে দেওয়া হচ্ছে, কখনও নীচের দিকে বেশি নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে! নালিশ শুনে হতভম্ব কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা।

ক্ষীরপাইয়ের একটি ভিডিয়ো হলের কাছে সেলুনে চুল ও দাড়ি কাটতে যেতেন স্থানীয় বাসিন্দা ওই যুবক। বেশ কয়েকবার দেখেন উল্টোপাল্টা ভাবে চুল কাটছে! তিনি সেলুন দোকানিকে মৌখিকভাবে বলেছেন ঠিক করে চুল কাটার জন্য। লাভ হয়নি! ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি চুল কাটতে গিয়েছিলেন সেলুনে। তাঁর নালিশ, ওই দিন চুলে সাবান দিয়ে চুল আঁচড়ানোর সময় দেখেন, দু’দিকের চুল খুব পাতলা কেটেছে! মাথার উপরের দিকের চুল ছোট-বড় কেটেছে! তাঁর দাবি, সাতদিন পরে ওই সেলুনে গিয়েই তিনি কিছু পয়সা দিয়ে চুল সমান করে কেটে আসেন। যুবকটির নালিশ, ৫ মার্চ পুনরায় চুল কাটতে ওই সেলুনে যান তিনি। বাড়িতে এসে সাবান দিয়ে স্নান করে চুল আঁচড়ানোর সময় দেখেন, যা বলেছিলেন তেমনটা হয়নি। থানায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর কাছে যুবকটি দাবি করেছিলেন, তিনি তখন পুনরায় ওই সেলুন দোকানে যান। এবং সেলুন দোকানিকে বলেই আসেন যে, এই ভাবে চুল কাটলে তিনি কিন্তু পুলিশকে জানাতে বাধ্য হবেন। তাঁর নালিশ খতিয়ে দেখে, ওই সেলুনের বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্ত করুক পুলিশ, সেলুন দোকানির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক-এমন আর্জিও জানিয়েছিলেন যুবকটি।

বছর দুয়েক আগে একটি ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘাটাল মহকুমা আদালত চত্বরের সামনে ঘটেছিল। বিচারককে ইট ছুড়ে মারতে চেয়েছিলেন ওই যুবক! একটি মামলার ‘দীর্ঘসূত্রতা’ নিয়ে তাঁর অনুযোগ ছিল। ডিভোর্স সংক্রান্ত মামলা। সেদিন আদালত চত্বরে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ওই যুবক। বিচারক বের হলেই তাঁকে ইঁট ছুঁড়ে মারবেন বলে ঠিক করেন তিনি। তাঁর অন্য রকম গতিবিধি নজরে এসেছিল পুলিশকর্মীদের। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

নালিশ শুনে হেসে লুটোপুটি খেয়েছেন ওই সেলুন দোকানি। তাঁর কথায়, ‘‘বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, ওঁর মাথায় ক্র্যাক আছে! চুল কী আর যেমন তেমন ভাবে কাটা যায়!’’ সব শুনে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এটা তো সিভিল ম্যাটার। ক্রিমিনাল ম্যাটার নয়। উনি চাইলে সিভিল কোর্টে গিয়ে মামলা করতে পারেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সেলুনে গিয়ে উনি কোনও ডিজাইন দেখিয়ে তার মতো করে চুল কাটার কথা জানিয়ে থাকলে, সেই ডিজাইনটা কিন্তু সঙ্গে রাখতে হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

midnapore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy