অলকা বর্মন। নিজস্ব চিত্র
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এসএসকেএম-এ মৃত্যু হল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাসিন্দা এক মহিলার। শনিবার সকালে অলকা বর্মন (৩৬) নামে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর শংসাপত্রে সরকারি হাসপাতালের তরফে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ম্যাক অ্যালাইজা পরীক্ষায় যে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে সে উল্লেখও রয়েছে। কিন্তু জেলার স্বাস্থ্য দফতর সে কথা জানে না বলে দাবি। এ দিন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘ময়না এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর ঘটনা জানা নেই। জেলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।’’
ময়না ব্লকের নৈছনপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকার নারকেলদা গ্রামে গত সপ্তাহে জ্বরে আক্রান্ত হন অলকাদেবী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তমলুক শহরের এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গির জীবাণু মেলে। অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় ২৯ নভেম্বর এসএসকেএম-এ ভর্তি করানো হয় অলকাদেবীকে। সেখানে ফের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। শনিবার সকালে এসএসকেএম-এ মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃতার জামাইবাবু বিশ্বজিৎ বর্মন বলেন, ‘‘আমরা আইসিইউ-তে ভর্তি করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এসএসকেএম-এ শয্যা না থাকায় কেবিনে রেখেই চিকিৎসা চলছিল।’’ অলকাদেবীর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ে সৌমিতা ও শাশুড়িও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তমলুকের নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। সুস্থ হয়ে ক’দিন আগেই বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। তবে অলকাদেবীর মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
নৈছনপুর-২ পঞ্চায়েতের প্রধান মধুসূদন সামন্তর দাবি, ‘‘জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্কও তৈরি হয়েছে। যদিও এখানে আর কেউ মশা বাহিত জ্বরে আক্রান্ত নেই।’’ প্রধানের দাবি, এলাকায় মশা বাহিত জ্বর ঠেকাতে তাঁরা একমাস আগেই ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা শিবির করেছেন। কিছু এলাকায় ব্লিচিং ছড়ানো হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy