Advertisement
০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
Dacoity in Kharagpur

পাঁচ শাগরেদকে জেরার পর মিলল আরও এক ডাকাতের খোঁজ, খড়্গপুরে ডাকাতির চেষ্টায় ষষ্ঠ গ্রেফতারি

গয়নার দোকানের মালিক আশিসকুমার দত্ত গুলিবিদ্ধ হন। তা ছাড়া দোকানের কর্মচারী অয়ন ভট্টাচার্য ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হন। দু’জনেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে।

Dacoity

শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:০৯
Share: Save:

রেল শহর খড়্গপুরের গোলবাজার এলাকায় সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ছ’জন। সেই ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়া থানা এলাকা থেকেই শনিবার সকালে ডাকাতদলের আরও এক সদস্যকে গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। এর পর ধৃতকে তুলে দেওয়া হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবারেই সবাইকে আদালতে হাজির করানো হবে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ খড়্গপুর শহরের গোলবাজার এলাকায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা হয়। বাধা দিতে গেলে দোকানের মালিক আশিসকুমার দত্ত গুলিবিদ্ধ হন। তা ছাড়া দোকানের কর্মচারী অয়ন ভট্টাচার্য ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হন। দু’জনেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, খড়্গপুর শহরে রেলের পরিত্যক্ত একটি কোয়ার্টারে বসে ডাকাতির ছক কষা হয়। ডাকাতির চেষ্টা এবং গুলি চালানোর ঘটনার চার ঘণ্টার মধ্যেই মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতেরা বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা বলে জানান পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। তবে তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের পরিচয় জানাতে নারাজ পুলিশ। শুধু এটুকু জানানো হয়েছে, খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৯৫, ৩৯৭, ৩০৭ এবং অস্ত্র আইনের ২৫/২৭ ধারায় মামলা রুজু করেছে।

ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের বেলিয়াবেড়া থানার রান্টুয়া থেকে ডাকাতদের গ্রেফতারির পাশাপাশি তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি ছুরি, একাধিক মোবাইল এবং একটি গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতিমান বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ছ’জনকে ধরা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার দু’দিন আগে খড়্গপুর শহরে পরিত্যক্ত রেলওয়ে কোয়ার্টারে আশ্রয় নেয় দুষ্কৃতীরা। পরিকল্পনা করার পাশাপাশি রেইকি হয়েছিল এলাকায়।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির জন্য কোন রাস্তা দিয়ে ঢোকা হবে, কোন রাস্তা দিয়ে কী ভাবে বেরোনো হবে, সব কিছুই ছকে নেওয়া ছিল। পুলিশ পিছু নিলেই ঝাড়গ্রামের দিক দিয়ে ওড়িশা কিংবা ঝাড়খণ্ডের দিকে পালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেই অনুযায়ীই শুক্রবার গাড়ি নিয়ে পালাচ্ছিল ওই ডাকাতদল। কিন্তু ঝাড়গ্রামের চিচিরা পোস্টে নজরদারি দেখে ওড়িশা যাওয়ার রাস্তায় গাড়ি ঘুরিয়ে নেয় তারা। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে রান্টুয়ায় গাড়ি রেখে পরনের পোশাক খুলে ধানজমিতে লুকিয়ে পড়ে তারা। ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালিয়ে পাঁচ ডাকাতকে ধরে পুলিশ।

ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ এবং ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের সহযোগিতায় আগেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে আরও এক জনকে ধরা হয়েছে। তা ছাড়া শুক্রবার ডাকাতদলের গাড়ি আটকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন গোপীবল্লভপুর থানার এক কনস্টেবল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE