সস্নেহে: সভামঞ্চে শিশুকে আদর মুখ্যমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার বেলপাহাড়িতে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
শিলদায় মাওবাদী হানায় নিহত ইএফআর জওয়ানদের স্মরণে শহিদ-তোরণ তৈরির নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বেলপাহাড়ির জনসভা সেরে শিলদায় রাজ্য পুলিশের স্ট্র্যাকো ক্যাম্পে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে শহিদ বেদিতে ফুলের মালা দেন। ছিলেন পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে শিলদায় একটি শহিদ তোরণের নির্দেশ দেন। এদিন দুপুরে বেলপাহাড়ির সভা মঞ্চে শহিদ জওয়ানদের ছবিতে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সভা সেরে ফেরার পথে শিলদা স্ট্র্যাকো ক্যাম্পে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে শহিদ বেদিতে ফুলের মালা দিয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর জেলা প্রশাসনের কর্তাদের শহিদ তোরণ তৈরির নির্দেশ দেন মমতা। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী শিলদায় একটি শহিদ তোরণ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”
এ দিনই ছিল শিলদা-কাণ্ডের অষ্টম বর্ষপূর্তি। ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দিনদুপুরে সশস্ত্র মাওবাদীরা শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল। ওই হামলায় ২৪ জন ইএফআর জওয়ানের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর শিলদা চক লাগোয়া ইএফআর ক্যাম্পটি তুলে নেওয়া হয়েছিল। তার বদলে শিলদা থেকে কিছুটা দূরে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের স্ট্র্যাকো জওয়ানদের ক্যাম্প করা হয়। প্রতিবছর শিলদার মূল হামলাস্থলে এবং স্ট্র্যাকো ক্যাম্পে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানটি হয়।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে সকালে শিলদা চকে পুরনো ক্যাম্পটির জায়গায় শোক-জ্ঞাপনের অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্র, ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বাস্তব বৈদ্য, জেলাশাসক আর অর্জুন, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার রাঠৌর অমিতকুমার ভরত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো-সহ পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। প্রারম্ভিক অনুষ্ঠানের পরে শহিদ স্মরণের মূল অনুষ্ঠানটি হয় শিলদার স্ট্র্যাকো ক্যাম্পে। ওই ক্যাম্পের প্রাঙ্গণে ‘শহিদ স্মৃতি উদ্যানে’র ২৪টি মেহগনি গাছে জল দিয়ে পুষ্পস্তবক দেন আইজি-সহ পুলিশ কর্তারা। ২০১১ সালে ইএফআর জওয়ানদের স্মৃতিতে নতুন স্ট্র্যাকো ক্যাম্পের ভিতরে শহিদ উদ্যানে ২৪টি মেহগনি গাছ রোপণ করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy