সঙ্কীর্ণ: রাস্তা দখল করেই লাগানো রয়েছে তোরণ। খড়্গপুর শহরের মালঞ্চ এলাকায়। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
রাস্তা দখল করে পুজোর আগেই তৈরি হয়েছে একের পর এক বিজ্ঞাপণী তোরণ। পুজো মিটলেও সে সব তোরণ এখন রয়েই গিয়েছে। বড় বড় তোরণের ঠেলায় সঙ্কীর্ণ রাস্তায় বাড়ছে যানজট। বিপাকে পড়ছেন শহরের বাসিন্দারা।
শহরের মালঞ্চ, প্রেমবাজার, ইন্দা, বোগদা, ঝাপেটাপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় গেলেই চোখে পড়বে, রাস্তার দু’ধারে বিশালকার তোরণ। সঙ্গে বড় ফ্লেক্স, হোর্ডিং তো আছেই। নিয়ম অনুযায়ী, পুজো মিটলে এ সব তোরণ সরিয়ে দেওয়ার কথা। তবে নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তোরণ রয়েছে তোরণের জায়গাতেই। শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তোরণের জন্য রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়েছে। ফলে গাড়ি যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন পথচারীরাও।
খড়্গপুরের সাঁজোয়ালের বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী কৃশানু আচার্য বলেন, ‘‘বিজ্ঞাপনের জন্য পুজো কমিটিগুলি রাস্তা দখল করে তোরণ বানিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী পুজোর বিসর্জনের পরদিন এ সব তোরণ খুলে নেওয়া উচিত। যদিও সে সব নিয়ম রয়েছে খাতায় কলমে।”
মালঞ্চতে সমস্যা আরও বেশি। স্থানীয় আদি পূজা কমিটির কর্মকর্তা শান্তনু মাইতি বলছেন, “লক্ষ্মীপুজো না মেটা পর্যন্ত শ্রমিকের অভাব থাকায় তোরণ এখনও খোলা যায়নি। লক্ষ্মীপুজোর পরে তোরণ খুলে দেওয়া হবে।” বিবেকানন্দপল্লি পুজো কমিটির কর্মকর্তা অমিত হালদারের যুক্তি, “শহরের দু’-একজন ডেকরেটর সব পুজোর তোরণ তৈরি করে। তাই তোরণগুলি খুলতে সময় লাগছে।” একইভাবে, প্রেমবাজার পুজো কমিতির কর্মকর্তা চিরঞ্জিত রায়ও বলছিলেন, “বৃহস্পতিবার থেকেই তোরণগুলি খোলা শুরু হয়েছে।”
খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “পুজোর পরেই কমিটিগুলির এই তোরণ খুলে দেওয়া উচিত। মহরমের শোভাযাত্রার পথে থাকা কিছু তোরণ খোলা হয়েছিল। মহকুমাশাসক বা পূর্ত দফতর বললে ব্যবস্থা নেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy