Advertisement
০১ জুন ২০২৪

বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, আক্রান্ত ছেলেও

গড়বেতা ৩ ব্লক (চন্দ্রকোনা রোড) এলাকায় মহিলা প্রার্থী-সহ বিজেপির তিন কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রাজীব কুণ্ডুও।

বিজেপি নেতার এই গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ।

বিজেপি নেতার এই গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দ্রকোনা রোড ও ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:৫৬
Share: Save:

মারধর, ভাঙচুর, পথ অবরোধ— ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত চন্দ্রকোনা রোড।

গড়বেতা ৩ ব্লক (চন্দ্রকোনা রোড) এলাকায় মহিলা প্রার্থী-সহ বিজেপির তিন কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রাজীব কুণ্ডুও। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। তারপর এক পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে অন্যায়ভাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, ভোটের আগে উত্তেজনা তৈরি করতেই পরিকল্পিতভাবে বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।

শুক্রবার রাতে চন্দ্রকোনা রোডের ডিগরিতে ঘটনার সূত্রপাত। বিজেপির অভিযোগ, কয়েকদিন ধরেই ডিগরিতে দলের প্রার্থী নিতু বাগ আড়িকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ দিচ্ছিল তৃণমূল কর্মীরা। নিতু বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপন করেছিলেন। শুক্রবার রাতে ওই প্রার্থীর এবং সোমনাথ দে ও সরস্বতী দাস নামে আরও দুই বিজেপি কর্মীর বাড়িতেও চড়াও হয়ে তৃণমূল কর্মীরা ভাঙচুর চালায়, তাঁদের মারধর করে বলে অভিযোগ। রাতেই জখম সরস্বতীকে স্থানীয় দ্বারিগেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাতেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা চন্দ্রকোনা রোড পুলিশ বিট হাউসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এই সময় বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী গৌতম কৌড়িকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সকালে দু’দলের কর্মীরাই চন্দ্রকোনা রোডে জড়ো হন। স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা দলের জেলা সহ-সভাপতি রাজীব কুণ্ডুর নেতৃত্বে কিছু বিজেপি কর্মী ডিগরিতে আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে যান। অভিযোগ, তাঁদের রাস্তা আটকে মারধর করে তৃণমূল, চলে গাড়ি ভাঙচুর। জখম রাজীবকেও দ্বারিগেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিনও চন্দ্রকোনা রোড চৌরাস্তায় অবরোধে সামিল হন বিজেপি কর্মীরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

আক্রান্ত কর্মীদের দেখতে দুপুরে চন্দ্রকোনা রোডে আসেন বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাস। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ নির্লজ্জভাবে তৃণমূল ও দুষ্কৃতীদের দালালি করছে।’’ যদিও অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তাঁর দাবি, ‘বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ করছে।’’

ঘাটালে আবার বিজেপি প্রার্থীর ছেলেকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘাটাল ব্লকের রানিরবাজারে পদ্ম-প্রার্থী জগন্নাথ কারকের ছেলে অরণ্যের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অরণ্য ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘাটালের মোহনপুর পঞ্চায়েতের রানিরবাজার উত্তর বুথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ কারক। সম্প্রতি জগন্নাথ কারকের সঙ্গে ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই মোবাইলের কথোপকথন ভাইরাল হয়। অভিযোগ, বিজেপি না ছাড়লে জগন্নাথ কারককে ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ ওষুধ দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বিধায়ক। বিষয়টি থানা পযর্ন্ত গড়ায়।বিজেপির অভিযোগ, শনিবার সকালে তৃণমূল আচমকাই জগন্নাথের বাড়িতে হামলা চলে। প্রার্থী বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ির সামনে স্নান করছিলেন অরণ্য। বিজেপি নেতা কালীপদ সেনগুপ্তের অভিযোগ, “দলীয় ওই কর্মীকে তৃণমূলের লোকজন লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় তৃণমূল কর্মীরা।” ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটাল হাসপাতালে।

যদিও ঘাটালের ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ মাঝির দাবি, “আমাদের একটা মিছিল চলছিল। মহিলাদের উদ্দেশে ওই বিজেপি কর্মী কটূক্তি করছিলেন। তখন দলের ছেলেরা প্রতিবাদ করে। মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC Attack
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE