উপপ্রধানকে মারধরের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের কোন্দল। মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান তমালতরু দাস মহাপাত্রের উপর গত ২৯ মার্চ রাতে রামনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কমার্ধ্যক্ষ অলক নন্দ ও তাঁর অনুগামীরা হামলা চালিয়েছিল বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বুধবার রাতে অলক-সহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন উপপ্রধানের দাদা তুলসি দাস মহাপাত্র। বৃহস্পতিবার মৈতনা গ্রামে পুলিশ তল্লাশিও চালালেও কেউ ধরা পড়েনি।
তুলসিবাবুর অভিযোগ, মৈতনা গ্রামের ডেমুরিয়া গ্রামে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে একটি হ্রদের সংস্কারের জন্য মাটি কাটার কাজ চলছে। এ জন্য বরাত পাওয়া বাইরের এক ঠিকাদারের থেকে টাকা আদায়ের জন্য তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসতে তমালবাবুকে চাপ দিচ্ছিলেন রামনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কমার্ধ্যক্ষ তথা মৈতনা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান অলকবাবু। তমালবাবু রাজি না হওয়াতেই তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই অলকবাবু এলাকায় নেই। মোবাইলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মৈতনা গ্রামের বাড়িতেও তাকে পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের রামনগর-২ ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণ দাসের বক্তব্য, “টাকা-পয়সা আদায় নিয়ে এমন ঘটনা ঘটবে জানতাম না। তুলসিবাবু বা তমালের পরিবারের অভিযোগ যে ভিত্তিহীন তা-ও বলছি না। বিষয়টির কিছুটা সত্যতা আছে। ওই আক্রমণের ব্যাপারে দলীয় স্তরে একটি তদন্ত করা হয়েছে। শুক্রবার এ নিয়ে ব্লক স্তরে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। তদন্তে যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তিনি দলের ও পঞ্চায়েত সমিতির যে পদেই থাকুননা কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গত ২৯ মার্চ রাতে মৈতনা গ্রামে বাসন্তীপুজো উপলক্ষে দিন-রাতের ক্রিকেট খেলা চলাকালীন উপপ্রধান তমালবাবু আক্রান্ত হন। রামনগর থানার পুলিশ তমালবাবুকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন সকালে পুলিশ মৈতনা গ্রামে গেলে একদল তৃণমূল সমর্থক পুলিশের উপরও হামলা চালায়। রামনগর থানার এক সাব-ইনস্পেক্টর-সহ তিন পুলিশকর্মী আহত হন। পরে কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাফর আজমল কিদোয়াইয়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy