৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জমে আবর্জনা। ছড়াচ্ছে দূষণ। নিজস্ব চিত্র।
মেদিনীপুর শহরের পাশ দিয়েই গিয়েছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই সড়কের এক দিকে শহর, অন্য দিকে মেদিনীপুর পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড। শহরের বিভিন্ন ভ্যাট থেকে নোংরা-আবর্জনা তুলে পুরসভার সাফাই গাড়ি এখানে এনে ফেলে যায়। পুরসভার নির্দেশ রয়েছে, মাংসের দোকানের বর্জ্য শহরের ভেতরের ভ্যাটগুলিতে ফেলা যাবে না। একেবারে ধর্মার ডাম্পিং গ্রাউন্ড ফেলতে হবে। কিন্তু মাংস বিক্রেতারা সেই সব আবর্জনা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে না ফেলে রাতের অন্ধকারে জাতীয় সড়কের ধারে ফেলে যায় বলে অভিযোগ। ফলে, দুর্গন্ধে অতিষ্ট এই এলাকার বাসিন্দারা। এমনকী রাস্তা দিয়ে যাতায়াতও দায় হয়ে ওঠে। পাশেই রয়েছে বেসরকারি শিশু হাসপাতাল। সেখানেও সমস্যা হয়।
৬০ নম্বর সড়ক হয়েই খড়গপুর, কলকাতা থেকে মেদিনীপুর শহরে ঢুকতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু মাংস বিক্রেতারা নয়, রাতের অন্ধকারে অন্য দোকান এমনকী বাড়ির আবর্জনাও ডাম্পিং গ্রাউন্ডে না ফেলে জাতীয় সড়কের ধারে ফেলা হচ্ছে। ছড়াচ্ছে দূষণ। ধর্মা ট্রাফিক মোড়ের বাসিন্দা শেখ তরুণ বলেন, ‘‘বহু প্রতিবাদ করেছি। কোনও লাভ হয়নি। এর জন্য তো রাত পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। প্রশাসনের উচিত নজর দেওয়া।’’ আনন্দনগরের বাসিন্দা লিপিকা রাণা, স্থানীয় করুণা বেরার কথায়, ‘‘দুর্গন্ধ আর মশা-মাছির উপদ্রবে জানলা-দরজা সারাক্ষণ বন্ধ রাখতে হয়। শহরের প্রবেশপথে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ কাম্য নয়।’’
পুরসভা অবশ্য এ ক্ষেত্রে দায় নিতে নারাজ। মেদিনীপুরের উপপুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাসের সাফ কথা, ‘‘এ বিষয়ে পুরসভার কিছু করার নেই। মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।’’ তবে উপপুরপ্রধানের আশ্বাস, মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy