বাঁশের কাজ করা ঘর সাজানোর সামগ্রী থেকে নানা রাজ্যের শাড়ি, শীতবস্ত্রের সম্ভার। যন্ত্র নয়, সবই হাতে তৈরি। দামও মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। এক ছাদের তলায় এমনই পসরা সাজিয়ে বসেছেন মণিপুর, অসম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরার কারিগরেরা।
শুক্রবার খড়্গপুর আইআইটি-র কাজী নজরুল কমিউনিটি সেন্টারে শুরু হল হস্তশিল্প ও তন্তুবায় প্রদর্শনী এবং মেলা। কেন্দ্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হস্তশিল্প ও তন্তুবায় উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের কলকাতার পূর্বশ্রী এম্পোরিয়াম শাখার উদ্যোগে এই প্রদর্শনী চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। মেলায় মণিপুরি শীতের চাদর থেকে অসমের বাঁশের সোফা, ত্রিপুরার বাঁশের দেওয়াল সজ্জা সামগ্রী থেকে অসমের মেখলা, উত্তরপ্রদেশের বিছানার চাদর, লখনউ চিকনের কুর্তা, ওড়িশার পটচিত্রের গৃহসজ্জার সামগ্রী কেনার সুযোগ। ভিড়ও হচ্ছে ভালই। আয়োজক সংস্থার ম্যানেজার বিজয়কুমার দে বলেন, “আইআইটিতে গত বছরও সাড়া পেয়েছিলাম। এ বারেও ভাল বিক্রির আশা রাখছি।”
গত বছরে আইআইটিতে এই প্রদর্শনী হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। এ বার আন্দামানে প্রদর্শনী থাকায় আইআইটি খড়্গপুরে নভেম্বরেই প্রদর্শনী হচ্ছে। ত্রিপুরা থেকে আসা চিত্তরঞ্জন ভৌমিক বলছিলেন, “আমাদের কাছে বাঁশের দেওয়াল সজ্জার জন্য ৪০টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত সামগ্রী রয়েছে। এত নিখুঁত জিনিস এখানে পাওয়া যায় না। তাই এখানে ভালই লাভ পাই।’’ একই সুরে নাগাল্যান্ডের বোলি সিমির বক্তব্য, “১০টাকা থেকে ৬০টাকার শুকনো ফুলের স্টিক রয়েছে আমার কাছে। এখানকার মানুষ এ সবের যা কদর করে, তা আমাদের কাছে সৌভাগ্যের।’’ কৌনার কাঠির মাদুর শিল্পী মণিপুরের এ সরোজনী দেবীর কথায়, “আমাদের কাজে পরিশ্রম অনেক। সেই মতো দাম পেতেই এই রাজ্যে আসা।”
শুধু ব্যক্তিগত স্টল নয়, আয়োজক সংস্থার তরফেও উত্তর-পূর্ব ভারতের বাঁশ, বেতের নানা জিনিসের স্টল দেওয়া হয়েছে। প্রদর্শনীতে কেনাকাটায় ব্যস্ত খড়্গপুরের বাসিন্দা তিতলি ভট্টাচার্য বলেন, “শৌখিন মানুষের কাছে এ সবের আলাদা কদর রয়েছে। আর এখানে দামও ঠিকঠাক।’’