কলেজে ঢুকতে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ঘাটাল কলেজ ইউনিটের সভাপতি শেখ ফকরুল হাসান-সহ ৩২ জন সদস্য। শুক্রবার বিষয়টি জেলা নেতৃত্ব ও ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝিকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন ফকরুল। এ বিষয়ে দিলীপবাবুর মন্তব্য, “ঘটনাটি সত্যি। দলীয়স্তরে আলোচনা করব।” অন্য দিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাযর্করী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “ঘাটাল কলেজের বিষয়টি শুনেছি। এখন কলেজে বহিরাগতদের ঢোকা নিষিদ্ধ। খোঁজ নিচ্ছি।” যদিও কলেজের টিচার ইন-চার্জ লক্ষ্মীকান্ত রায় বলেন, “এর সঙ্গে কলেজের কোনও যোগ নেই। শিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনে বহিরাগতদের কলেজে ঢোকা নিষিদ্ধ করেছি।”
কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না, এ কথা বারবারই বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী, এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে তৈরি হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ঘাটাল কলেজ ইউনিট। ইউনিট সভাপতি হন শেখ ফকরুল হাসান। ৩২ জনের একটি কমিটিও গড়া হয়। যদিও ইউনিট সভাপতি-সহ ইউনিটের সিংহ ভাগ সদস্যই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। তা সত্ত্বেও এত দিন কলেজের ভিতরে ঢুকে ঘর ব্যবহার সাংগঠনিক কাজকর্ম চালাচ্ছিলেন তাঁরা। মাসখানেক আগে তাঁদের কলেজের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নিষেধ ছিল মৌখিক ভাবে। এই নিয়ে কয়েক দিন ধরেই চাপা উত্তেজনা ছিল। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানান ইউনিট সভাপতি-সহ বাকি সদস্যেরা। কিন্তু ঘাটাল ব্লক নেতৃত্বও ছিলেন সরকারি নিয়মের পক্ষেই।
শুক্রবার তাঁরা কলেজে ঢুকতে গেলে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এর পরেই গণপদত্যাগ করেন সদস্যেরা। ফকরুলের কথায়, “আমাদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। আমাদের কথাকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি দলীয় নেতৃত্বও। তাই পদত্যাগ করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy