দলের নেতাদের কোন্দল বন্ধ করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
গোঁজ প্রার্থী তো রয়েছেই, সঙ্গে রয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল। এই সব ‘সমস্যা’র লড়তে দলীয়প্রার্থীদের একত্রিত হওয়ার পরামর্শ দিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তাঁর পরামর্শ ‘অগ্রাহ্য’ করেই শেষ দিন শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন না শাসকদলের বেশ কয়েকজন গোঁজ প্রার্থী।
তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থীদের নিয়ে শুক্রবার রাতে মেচেদার কাছে একটি অতিথিশালায় বৈঠক করেন পরিবহণমন্ত্রী। সেখানে শুভেন্দু দলের নেতাদের কোন্দল বন্ধ করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন। তবে এ দিন ব্লকের ধলহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের চার এবং খারুই-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এক জন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় গোষ্ঠী কোন্দলের ছবিটিই আরও একবার প্রকট হল।
দলীয় সূত্রের খবর, ধলহরা গ্রাম পঞ্চায়েতে দুই তৃণমূল নেতার মধ্যে কোন্দলের জেরে ওই পঞ্চায়েতের পাঁচটি আসনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন দলেরই কর্মীরা। শুভেন্দু শুক্রবার বৈঠকে বার্তা দেওয়ার পরেই শনিবার সকাল থেকে ওই গোঁজ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র তোলার জন্য তৎপর হন ব্লক নেতৃত্ব। যদিও এ দিন একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও বাকি চারজনের নাগাল মেলেনি বলেই খবর।
একইভাবে খারুই-২ পঞ্চায়েতের বলরামপুর-জয়রামচক গ্রামের একটি পঞ্চায়েত আসনে তৃণমূলের এক কর্মীর স্ত্রী নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছেন। ওই আসনে এবার তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ-সভাপতি বামদেব গুছাইতের স্ত্রী জয়শ্রী গুছাইত।
তমলুক শহর লাগোয়া শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত আসন সংখ্যা ১৫২টি, পঞ্চায়েত সমিতির আসন ৩০টি এবং জেলা পরিষদ আসন ৩টি। এ দিন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষে ব্লকের ৩৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত, আটটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল। তবে এর মধ্যেও শাসকদলের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে গোঁজ প্রার্থীরা
অবশ্য গোষ্ঠী কোন্দলের কথা অস্বীকার করে ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘‘প্রার্থী হতে না পেরে কয়েকজন কর্মী নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছেন। এতে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy