চিরঞ্জীব হাজরা। নিজস্ব চিত্র
চাকরি সূত্রে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের এক যুবক থাকতেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। হঠাৎই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যুবকের দিদি প্রশাসন মারফত যোগাযোগ করে জানলেন, মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও অন্ধকারে পরিবার। ওই রহস্য মৃত্যুতে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত যুবক চিরঞ্জীব হাজরার (৩০) বাড়ি কেশপুরের নেড়াদেউলে। স্কুল স্তরে তাঁর পড়াশোনা পশ্চিম মেদিনীপুরেই। উচ্চমাধ্যমিকের পরে বিবিএ পড়তে বেঙ্গালুরুতে যান। পরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যান এমবিএ পড়তে। পরিবার সূত্রের খবর, এমবিএ করার পরে তিনি সিডনিতেই একটি সংস্থায় চাকরি পেয়ে যান। পরিজনেদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন চিরঞ্জীব।
সপ্তাহে একবার বাড়িতে ফোন করতেন। দিদি সুপর্ণা সামন্তের সঙ্গে প্রোজই হোয়াটসঅ্যাপে কথা হতো তাঁর। সুপর্ণাদেবীর শ্বশুরবাড়ি চন্দ্রকোনার ঝাঁকরায়। গত ২৫ জানুয়ারিও ভাইয়ের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয় সুপর্ণাদেবীর। কিন্তু পরের দিন থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
চিরঞ্জীবের খোঁজ পেতে পরিজনেরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। প্রশাসনিক সূত্রে মঙ্গলবার পরিজনেরা জানতে পারেন, সিডনিতে চিরঞ্জীবের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সুপর্ণাদেবীর কথায়, “ভাইয়ের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হতো। কিন্তু ২৬ জানুয়ারি থেকে ভাইয়ের কোনও খোঁজ পাচ্ছিলাম না। নানা ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি।’’ পরিজনদের দাবি, চিরঞ্জীবের মৃত্যুর পিছনে রহস্য রয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সেই রহস্য সামনে আসবে।
সুপর্ণাদেবীর স্বামী অনুপকুমার সামন্ত বলেন, “আমরা ঘটনার তদন্ত চাই। নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। তাহলেই সব সামনে আসবে।” চিরঞ্জীবের দেহ দেশে আনার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন পরিজনেরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন চিরঞ্জীব। সিডনিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy