Advertisement
E-Paper

ধর্ষণে ধৃত আনিসুর, বিজেপি বলছে ষড়যন্ত্র

পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের এক যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে মেদিনীপুর শহর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণ ছাড়াও নিগৃহীতাকে হুমকি, ষড়যন্ত্র-সহ ৭টি ধারায় মামলা হয়েছে আনিসুরের বিরুদ্ধে। সেই কাজে সহযোগিতার জন্য গ্রেফতার হন আনিসুরের সহযোগী হাবিবুর রহমানও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:০৭
মেদিনীপুর আদালতে আনিসুর রহমান। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

মেদিনীপুর আদালতে আনিসুর রহমান। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

মাস খানেকও হয়নি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন তিনি। পাঁশকুড়ার সেই দলত্যাগী নেতা আনিসুর রহমান এ বার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের এক যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে মেদিনীপুর শহর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণ ছাড়াও নিগৃহীতাকে হুমকি, ষড়যন্ত্র-সহ ৭টি ধারায় মামলা হয়েছে আনিসুরের বিরুদ্ধে। সেই কাজে সহযোগিতার জন্য গ্রেফতার হন আনিসুরের সহযোগী হাবিবুর রহমানও। সোমবার ধৃতদের মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করে তিন দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগে এই গ্রেফতার। সব দিক দেখা হচ্ছে।” বছর চব্বিশের নিগৃহীতা যুবতীও আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন।

ওই যুবতী পুলিশকে জানান, চার বছর আনিসুরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। তখন একাধিক বার তাঁকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়। সম্প্রতি অন্য এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর। তা জেনে আনিসুর তাঁকে হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ওই যুবতী শনিবার ঘুমের ওষুধ খান। রবিবার তাঁকে মেদিনীপুরে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও আসেন আনিসুর। অভিযোগ, জোর করে হাসপাতালে ঢুকে যুবতীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এর পরই পুলিশকে ফোনে অভিযোগ জানান যুবতী।

বিজেপি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘মুকুল রায়ের অনুগামী হিসেবে আমাদের দলে আসাতেই আনিসুরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে তৃণমূল।’’ আনিসুরও এজলাসের লকআপে ঢোকার সময় বলেন, “সত্যের জয় হবেই।” তাঁর আইনজীবী শুভজিৎ সিংহের মন্তব্য, “মামলাটা সাজানো। কবে কোথায় ধর্ষণ হয়েছে, অভিযোগে কিছুই বলা নেই।” তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলন, ‘‘ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন নেই। এ সব বিজেপির ফালতু কথা।’’ ২০০৬-এ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগের জেরে সিপিএম থেকে আনিসুর বহিষ্কৃত হন। পরে তৃণমূলে আসেন।

ক’মাস আগে তৃণমূলের দলীয় নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান হওয়ায় নেতৃত্বের কোপে পড়েন আনিসুর। ৬ বছরের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করে দল। পরে পুরপ্রধান পদ থেকেও সরতে হয় তাঁকে। তবে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন আনিসুর। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় আনিসুরের পক্ষেই এসেছে। তবে তার বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য। গত ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন আনিসুর। তারপরই এই গ্রেফতার।

যুবতীর অভিযোগে প্রথমে আনিসুরকে আটক করে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তার পর ওই হাসপাতালে ধুন্ধুমার বাধে। আনিসুরকে গ্রেফতারে গড়িমসি করা হচ্ছে, এই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান যুব তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশকেও কটূক্তি করা হয়। পৌঁছন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শচীন মক্কর। শেষে রাত আড়াইটেয় গ্রেফতার হন আনিসুর।

Anisur Rahman BJP Rape Charges Rape Case tmc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy