Advertisement
E-Paper

জালিয়াতি করে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে! ময়না থেকে গ্রেফতার বিজেপি নেতা

হুগলির ১২ জন লক্ষ্মীর ভান্ডারের উপভোক্তার খাতায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দিতেন বিজেপি নেতার ছেলে। এর ফলে সরকারের দেওয়া টাকা সোজা ঢুকত তাঁদের অ্যাকাউন্টে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৩৮
BJP leader arrested accused of fraud in laxmir bhandar in east midanpore

—প্রতীকী চিত্র।

ছেলে একটি এজেন্সির মাধ্যমে রাজ্য জুড়ে সরকারি অফিসে ‘ডেটা এন্ট্রি’র কাজে যুক্ত। সেই সুযোগে হুগলির খানাকুল ২ ব্লক এলাকার একাধিক লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রাপকের জায়গায় নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার দক্ষিণ হরকুলি গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাসের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খানাকুল ২ ব্লকের বিডিও ১২ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ময়না থেকে ওই বিজেপি নেতা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতার ছেলে পলাতক।

পুলিশ সূত্রে খবর, ময়না থানার দক্ষিণ হরকুলি গ্রাম থেকে বিজেপির বুথ সভাপতি অশোকের পাশাপাশি সনাতন জানা এবং গোপাল জানা নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার খানাকুল ২ এর বিডিও মধুমিতা ঘোষ ওই ঘটনায় খানাকুল থানায় বিজেপি নেতা-সহ ভুয়ো ১২ উপভোক্তার বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। মঙ্গলবার খানাকুল থানার পুলিশ ময়না পৌঁছোয়। তার পর দক্ষিণ হরকুলি গ্রাম থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।

সূত্রের খবর, অশোকের ছেলে শ্রীকান্ত একটি এজেন্সির অধীনে বিভিন্ন সরকারি অফিসে ‘ডেটা এন্ট্রি’র কাজ করতেন। সেই সূত্রে শ্রীকান্ত খানাকুল ২ বিডিও অফিসের ‘লগইন আইডি’ সংগ্রহ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে কারচুপি করতে শুরু করেন। খানাকুল ২ ব্লক এলাকার লক্ষ্মীর ভান্ডারের উপভোক্তাদের নামের সঙ্গে ময়নার ১২ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত (লিঙ্ক) করে দেন। তার ফলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের যে টাকা রাজ্য সরকার দিচ্ছে, তা চলে যেত বিজেপি নেতার অনুগামীদের অ্যাকাউন্টে। এ ভাবেই গত কয়েক মাস ধরে ওই বিজেপি নেতা-সহ ১২ জন পুরুষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আর্থিক সুবিধা পেয়ে চলেছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনিক মহলে আলোড়ন পড়ে যায়। ময়না ব্লক অফিসে অভিযুক্ত শ্রীকান্তকে ডেকে পাঠিয়ে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের দাবি, সেখানে নিজের দোষ কবুল করেন শ্রীকান্ত। বিষয়টি খানাকুল বিডিও অফিসে জানানো হয়। সেই সূত্র ধরেই খানাকুল ২ ব্লকের বিডিও মধুমিতা ঘোষ সোমবার ১২ জন ভুয়ো উপভোক্তার বিরুদ্ধে খানাকুল থানায় এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ময়না থেকে বিজেপি নেতা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। তবে, মূল অভিযুক্ত শ্রীকান্ত এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Laxmi Bhandar Scheme BJP Leader arrested Fraud Case Moyna East Midnapore
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy