Advertisement
E-Paper

বনভোজনের ফাঁকে রক্তদান

কুয়াশায় ঢাকা রবিবার গনগনিতে রক্তদান, মরণোত্তর চক্ষুদান, থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছিল মোলডাঙা শ্যামা সেবায়তন নামে গড়বেতার একটি সংস্থা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:০৮
সচেতন: চলছে রক্তদান।

সচেতন: চলছে রক্তদান।

বড়দিন-বর্ষশেষে উৎসবের মরসুম। চড়ুইভাতি, হইহুল্লোড়, দেদার মজা। সে সবের ফাঁকেই দেওয়া হল সচেতনতার পাঠ।

কুয়াশায় ঢাকা রবিবার গনগনিতে রক্তদান, মরণোত্তর চক্ষুদান, থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছিল মোলডাঙা শ্যামা সেবায়তন নামে গড়বেতার একটি সংস্থা। এই নিয়ে পরপর চার বছর গনগনিতে বনভোজনের সময় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে তারা। মানুষের উৎসাহ বাড়তে থাকায় এ বার তারা জুড়েছে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকারের বিষয়টিও। সাড়াও পড়েছে তাতে।

থ্যালাসেমিয়া, রক্তদান, চক্ষু ও অঙ্গদান নিয়ে বছরভর নানা অনুষ্ঠান করে গড়বেতার এই সংস্থাটি। বনভোজনেও কেন সেই সচেতনতার বার্তা? সংস্থার কর্ণধার সুনীল পাড়ুই বলেন, ‘‘গনগনিতে বছর শেষে বিভিন্ন জেলার বহু মানুষ বনভোজন করতে আসেন। তাঁদের কাছে রক্তদান, চক্ষুদানের গুরুত্ব তুলে ধরতেই এই সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন। বনভোজনের আসা অনেকেই রক্ত দিয়ে যান। মরণোত্তর চক্ষুদান করার অঙ্গীকার করেন।’’ এ দিন শিবিরের উদ্বোধন করেন গড়বেতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বাজপেয়ী। ছিলেন গড়বেতা ১-এর যুগ্ম বিডিও বিশ্বনাথ ধীবর-সহ অনেকেই। আসতে না পারলেও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা এই ধরনের প্রয়াসের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘সামাজিক বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানেও এমন সচেতনতামূলক কর্মসূচি আখেরে মানুষেরই উপকার করে। উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ।’’

এ দিন গনগনিতে বন্ধুদের সঙ্গে ব্যান্ডেল থেকে বনভোজনে এসেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শিবিরে এসে রক্ত দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বনভোজনে রক্তদান শিবিরের মতো অভিনব উদ্যোগের সাক্ষী থাকতেই রক্ত দিলাম। ফিরে গিয়ে ব্যান্ডেলেও এমন আয়োজনের চেষ্টা করব।’’ বিষ্ণুপুরের গৃহবধূ বনশ্রী দত্ত আবার সপরিবার পরিজনেদের সঙ্গে গনগনিতে এসেছিলেন বনভোজনে। রক্ত দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই নিয়ে চারবার গনগনিতে এসে বনভোজনে রক্ত দিলাম। খুব ভাল উদ্যোগ।’’ মেদিনীপুর শহরের বিষ্ণুনগরের বাসিন্দা রঞ্জিত দত্তও গনগনিতে বনভোজনে এসে রক্ত দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমবার গনগনি দেখলাম, রক্তদানও করলাম। দ্বিগুণ আনন্দ হল।’’

মেদিনীপুরের মিজানুর রহমান, চন্দ্রকোনা রোডের পুরঞ্জয় কুণ্ডু, গোয়ালতোড়ের সুব্রত নন্দী-সহ অনেকেই এ দিন গনগনিতে বনভোজনে এসে হইহুল্লোড়ের ফাঁকে গিয়ে রক্ত দিয়ে এসেছেন। আরামবাগের সুদর্শন চক্রবর্তী, সারেঙ্গার বিপ্রদাস দাসরা আবার শিবিরে এসে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেন। তাঁরা বলেন, ‘‘আমাদের চোখ যদি অন্যের কাজে লাগে তাই চক্ষুদানের অঙ্গীকার করলাম। বনভোজন করতে এসে এমন একটা কাজ, সারা জীবন মনে থাকবে।’’

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে এ দিন গনগনির শিবিরে ৪৫ জন রক্ত দেন আর ১৩ জন মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেন। শিবির শেষে প্রত্যেকের জন্য ছিল ভাতের সঙ্গে পাঁঠার মাংস, বাঁধাকপির তরকারি, চাটনি আর মুগের ডাল দিয়ে পাতপেড়ে খাওয়াদাওয়া। নিজস্ব চিত্র

Blood Donation Camp Gangani
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy