সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ভাইয়ের হাতে খুন হলেন দাদা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চন্দ্রকোনা থানার জামিরা গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম সুকুমার ধাড়া (৪২)। ঘটনায় মৃতের দুই ভাই অনিল ও আনন্দ-সহ চার জনের নামে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। যদিও এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই জমিজমা নিয়ে ধাড়া পরিবারে অশান্তি চলছিল। অভিযোগ, সম্প্রতি সুকুমারবাবু জামিরা গ্রামে বাড়ি সংলগ্ন ফাঁকা জমিতে নতুন ঘর তৈরি করার পরিকল্পনা করছিলেন। সুকুমারবাবুর মেয়ে শিউলিদেবীর অভিযোগ, “ওই জমি আমাদের ভাগেই পড়েছিল। কিন্তু কাকা-কাকিমারা তা মানতে চাননি।” ভাইয়ের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়েই সুকুমারবাবু এ দিন বাড়ি সংলগ্ন জমিটি ঘিরছিলেন। বিকেল হতেই এ নিয়ে দু’পক্ষের গোলমাল শুরু হয়।
এ দিন প্রথমে জমি ঘেরার কাজে আপত্তি জানায় সুকুমারবাবুর ভাই অনিল ধাড়া। তাঁকে অনিলবাবুর স্ত্রী বন্দনাও মদত দেন বলে অভিযোগ। সন্ধেয় আর এক ভাই আনন্দও অনিলবাবুর পক্ষ নেওয়ায় গোলমাল বেড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্পত্তির অধিকার নিয়ে দাদা-ভাইদের মধ্যে বচসা লেগেই থাকত। প্রথমে পড়শিরাও বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। আপত্তি সত্ত্বেও সুকুমারবাবু বাঁশ দিয়ে জমি ঘেরার কাজ করতে থাকায় অনিল ধাড়া বাড়ি থেকে একটি কুড়ুল নিয়ে এসে দাদার মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই সুকুমারবাবুর মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিস্থিতি বেগতিক থেকে পালিয়ে যায় অনিল ও তাঁর স্ত্রী বন্দনা। স্ত্রী করুনাকে নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যান আনন্দও। খবর পেয়ে চন্দ্রকোনা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy