ভবন তৈরি হয়ে গিয়েছে। যদিও ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসা এখনও চালু হল না কেশপুরে।
চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই মাদ্রাসায় পঠন পাঠন শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রস্তাবিত মাদ্রাসাটি চালু হলে উপকৃত হবে এলাকার মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা। কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা দে সেনগুপ্তের আশ্বাস, “হস্টেল তৈরি হয়ে গেলেই এই মাদ্রাসায় পঠন পাঠন শুরু হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পঠন পাঠন শুরু করার সব রকম চেষ্টা চলছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১৯টি মাদ্রাসা রয়েছে। এরমধ্যে ১৩টি হাইমাদ্রাসা। ৩টি সিনিয়র মাদ্রাসা ও ৩টি জুনিয়র মাদ্রাসা। জেলা থেকে ফি বছর প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রী মাদ্রাসা পরীক্ষা দেয়। কেশপুরে প্রচুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। তাই কেশপুরেই ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসা চালুর জন্য পদক্ষেপ করা হয়। ২০১৪ সালে মাদ্রাসার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি মেলে। ওই সময় থেকে ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী সমিতির কর্মকর্তা মির্জা আজিবুর রহমান বলছিলেন, “দিনে দিনে ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে। এখন অনেক অভিভাবকও চাইছেন, তাঁদের ছেলেমেয়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করুক। আর ইংরেজি শিখলে চাকরির সুযোগও বেশি আসে।’’ এলাহিয়া হাই-মাদ্রাসার সহ-শিক্ষক আজিবুর রহমানের মতে, “বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়তে হলে পড়ার খরচ বেশি পড়ে। অনেক পরিবারই ওই খরচ বহন করতে পারে না। সরকারি ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসায় গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েও পড়তে পারবে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ সত্যিই ভাল।”
কেশপুরের চেচুড়া মৌজায় প্রায় তিন এক জায়গায় প্রস্তাবিত এই মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। জেলার শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র বলছিলেন, “রাজ্য সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে সব রকম চেষ্টা করছে। কেশপুরে এই মাদ্রাসাটি গড়ে উঠলে মাদ্রাসা শিক্ষার আরও প্রসার হবে।” জেলার এক হাই-মাদ্রাসার সহ-শিক্ষকের কথায়, “তরুণ প্রজন্মের মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই চায় ভাল ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে পড়াশোনা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসা চালু হলে মুসলিম ছাত্রছাত্রীরাও ইংরেজিতে পারদর্শী হবে।”