E-Paper

ঘাটাল-নেপাল বাস বন্ধ, ব্যবসায় ধাক্কা

বছর কুড়ি আগে ঘাটাল-কাঠমান্ডু বাস চলাচল শুরু হয়। এখন সপ্তাহে ২০-২৫টি নেপালগামী বাস ঘাটাল থেকে ছাড়ে।

অভিজিৎ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৩০
নেপালগামী বাসের বুকিং বন্ধ। দাসপুরের বেলেঘাটায়। নিজস্ব চিত্র

নেপালগামী বাসের বুকিং বন্ধ। দাসপুরের বেলেঘাটায়। নিজস্ব চিত্র

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে। তবে নেপাল এখনও অশান্ত। যোগাযোগ বন্ধ। বন্ধ সীমান্তও। তার প্রভাব পড়েছে ঘাটালের পরিবহণ ব্যবসাতেও।

প্রায় দু’দশক ধরে ঘাটাল-নেপাল বাস পরিষেবা চালু আছে। মূলত স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও কারিগারদের যাতায়াতের সূত্রেই এই বাস চলে। র্যটকেরাও যাতায়াত করেন। এখন পড়শি দেশে গোলমালে থমকে ঘাটাল-নেপাল বাস পরিষেবা। দ্রুত সীমান্ত খুলুক, চাইছেন মালিক থেকে কর্মী সকলেই।

বছর কুড়ি আগে ঘাটাল-কাঠমান্ডু বাস চলাচল শুরু হয়। এখন সপ্তাহে ২০-২৫টি নেপালগামী বাস ঘাটাল থেকে ছাড়ে। দিনে গড়ে এক-দুটি বাস রওনা দেয়। ঘাটালের মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক সঞ্জয় হালদার বলেন, ‘‘বাসে ঘাটাল থেকে নেপাল যাওয়ার পারমিটের আবেদন নিয়ম করে জমা পড়ে। সব খতিয়ে দেখে অস্থায়ী অনুমতি দেওয়া হয়।’’ পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত দাসপুরের দেবীপ্রসাদ আধিকারী বলছিলেন, “এখন বাসের পাশাপাশি ছোট গাড়িও যাচ্ছে। অশান্তির জন্য সব বন্ধ। পুজোর আগে ব্যবসাও থমকে।”

নেপালগামী এই বাসগুলির বেশিরভাগই ৭০ জন যাত্রী যেতে পারে। স্লিপারের সুবিধাও রয়েছে। দাসপুর, সোনাখালি, চাঁইপাট, পাঁচবেড়িয়া-সহ ঘাটালের বিভিন্ন জায়গা থেকে নেপালগামী বাস ছাড়ে। সব বাসই মেচগ্রাম থেকে যাত্রী তোলা শুরু করে। আরামবাগ, বর্ধমান থেকেও যাত্রীরা ওঠেন। তমলুক থেকে নেপালগামী একাধিক বাস ঘাটালের উপর দিয়ে যায়। পুজোর আগে বাড়তি চাহিদা থাকে। ফলে, নেপাল যাত্রা বন্ধে ব্যবসা মার খাচ্ছে। এক-একটি বাসে চালক-সহ আট-দশ জন কর্মী থাকেন। সকলেই সমস্যায় পড়েছেন।

ঘাটালে থেকে ২০০০ সালে প্রথম নেপালের বাস চালু হয়। যাত্রীদের বেশিরভাগই সোনার কারিগর, ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিজন। অন্য পেশার অনেকে চুক্তিতেও কাজে যান। রং মিস্ত্রি, পাথর মিস্ত্রিরাও যান। অনেকে বেড়াতে যান নেপালে। ঘাটাল, আরামবাগ, বর্ধমান থেকে বিহার, ঝাড়খণ্ড হয়ে রৌক্সল সীমান্ত দিয়ে নেপালে ঢোকে বাসগুলি। বেশিরভাগ কাঠমান্ডু যায়। নেপালের অন্য শহরেও যায় কিছু বাস। ঘাটাল থেকে নেপাল পৌঁছতে ২৬-২৮ ঘন্টা সময় লাগে। ভাড়া মাথাপিছু ২৩০০ থেকে ২৫০০ টাকা।

এক বাস পরিষেবা সংস্থার কর্মী চিত্তরঞ্জন পাঁজা জানালেন, “এখন বুকিং নেওয়া হচ্ছে না। পুজোর আগে সীমান্ত খুললেই ভাল,” নেপাল-ঘাটাল বাস পরিষবা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রাজীব প্রধানের কথায়, “দ্রুত সব কিছু স্বাভাবিক হোক, এটাই চাইছি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

ghatal Nepal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy