প্রদর্শনীতে কেনাবেচা। মেদিনীপুরে। — নিজস্ব চিত্র।
লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী বিক্রি হওয়ায় খুশি খাদি প্রদর্শনীতে আসা বিক্রেতারা। গত বছর সতেরো দিনের মেলায় বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকার। এ বার চোদ্দো দিনের মেলাতেই প্রায় ৩১ লক্ষ টাকার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে বলে দাবি। খাদি গ্রামোদ্যোগের এক আধিকারিক অভিজিৎ রায় দাবি করেন, ‘‘৪০ লক্ষ টাকার সামগ্রী বিক্রি করা আমাদের লক্ষ্য ছিল। তবে এই বাজারে ৩২ লক্ষ টাকার বিকিকিনি কম নয়।’’
খাদি গ্রামোদ্যোগ ভবনের উদ্যোগে গত ৪ জানুয়ারি মেদিনীপুর জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শুরু হয় খাদি প্রদর্শনী। মঙ্গলবার শেষ হল প্রদর্শনী। ২৮টি খাদির ও ১৭টি গ্রামীণ শিল্পে উৎপাদিত দ্রব্যের স্টল ছিল প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনীতে ‘বীরভূম রেশমি’ সংস্থার শাড়িই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে বলে খবর। সংস্থার এক আধিকারিক চন্দন পাত্র বলেন, ‘‘প্রদর্শনীতে কষাঘিচা’ ও ‘দুপিয়ানাঘিচা’ সিল্কের শাড়ির ভাল চাহিদা ছিল। এ বার চার লক্ষ টাকার বিকিকিনি হয়েছে।’’ প্রদর্শনীতে মুর্শিদাবাদের ‘বিজয়পুর সিল্ক খাদি সেবা সংস্থার’ আধিকারিক আনন্দ সেন বলেন, ‘‘প্রায় তিন লক্ষ টাকার গরদ ও কাঁথা স্টিচ শাড়ি বিক্রি হয়েছে।’’
এ বার প্রথম প্রদর্শনীতে এসেছে কাশ্মীরের ‘শ্রীনগর কেখসান খাদি’। সংস্থার এক আধিকারিক জাভেদ আহমেদ খান বলেন, ‘‘প্রথমবার মেদিনীপুরে এসেছি। এখানে কাশ্মীরের শালের চাহিদা ভালই। দেড় লক্ষ টাকার কেনাবেচা হয়েছে।’’ প্রদর্শনীর দায়িত্বে থাকা খাদি গ্রামোদ্যোগের অসীম বাসফোর বলেন, ‘‘প্রদর্শনীতে বেচাকেনা দেখে আমরা উচ্ছ্বসিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy