বিজেপির সভায় দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়।নিজস্ব চিত্র
সাহস থাকলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করুক, শ্রীনু নায়ডু খুনের ঘটনার পর প্রথমবার রেলশহরে পা দিয়ে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা খড়্গপুরের বিধাযক দিলীপ ঘোষ। বুধবারও শালবনিতে দলের এক কর্মসূচিতে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আমি কলকাতায় আছি বলে মনে হল আমাকে ধরতে পারছে না। খড়্গপুরে এলাম। আমি চাইছিলাম, আমাকে ধরুক। আমার একটু জেলে যাওয়ার শখ রয়েছে। কেউ আমাকে গ্রেফতার করতে এল না।” একইসঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করলে যে রাজ্য তোলপাড় হয়ে যাবে, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
দলীয় কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে বুধবার শালবনিতে বিজেপির এক প্রতিবাদ সভা হয়। সভায় দিলীপবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। খড়্গপুরের বিধায়কের কথায়, “ওখানকার নেতারা বলছে, এরমধ্যে (শ্রীনু খুনে) দিলীপ ঘোষের হাত থাকতে পারে। ভাগ্য ভাল আমি বাংলাদেশে ছিলাম। না- হলে আমাকে জড়িয়েই দিত। কিছুতেই হিসেব মেলাতে পারছে না। বলছে, দিলীপ ঘোষ হুমকি দিয়েছিল। কোথায় দিয়েছিল তা জানি না, তবে হুমকি কোথাও একটা দিয়েছিল।” এ দিন দিলীপবাবু বলেন, “দিলীপ ঘোষকে ছুঁয়ে দেখাক। দিলীপ ঘোষ কী করতে পারে দেখে নেবে।”
তৃণমূলকে বিঁধে দিলীপবাবুর অভিযোগ, “এখানে বহুদিন ধরে তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে। এই সভার প্রস্তুতির সময়েও কর্মীদের মারা হয়েছে।” তৃণমূল যে ভারতে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আছে, তা মনে করিয়ে দিয়ে দিলীপবাবুর মন্তব্য, “সব লিখে রাখছি। সব হিসেব হবে! একপাশে ঝাড়খণ্ড। ওখানে বিজেপির সরকার আছে। ওড়িশায় তৃণমূল নেই। বিহারে তৃণমূল নেই। অসমে বিজেপির সরকার আছে। এখানে মেরে যাবেন কোথায় হিসেব করেছেন? এখানে দু’টো পড়লে ওখানে চারটে পড়বে। হাসপাতাল নিয়ে যেতে পারবেন না!”
শ্রীনু খুনের পর জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ দাবি করেছিলেন, শ্রীনু ভাল হওয়ার চেষ্টা করছিল। পুলিশ সুপার কেন শ্রীনুকে সার্টিফিকেট দেবেন, সেই প্রশ্নও তোলেন দিলীপবাবু। তাঁর অভিযোগ, “কয়েক দিন আগে খড়্গপুরে একটা খুন হয়েছে। তৃণমূলের স্বার্থে সব হয়েছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘ওদের নেতা, পুলিশ অফিসার, সবাই ওর সঙ্গে যুক্ত আছে। সবাই জানে এটা। ওকে আবার ক্লিনচিট দেওয়া হচ্ছে। ও নাকি এখন সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিল। আমাদের এসপি এ কথা বলছেন।” পুলিশ সুপারকে বিঁধে তাঁর মন্তব্য, “আপনাকে সার্টিফিকেট কে দেবে!” বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “তৃণমূলের শিক্ষা-সংস্কৃতি বলে কিছু নেই। এখন মাওবাদীরা চলে গিয়েছে নবান্নে! যে দল রাজ্য চালাচ্ছে সে দলে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy