দিন কয়েকের মধ্যেই শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায় চার্জশিট পেশ করতে চলেছে পুলিশ। মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে পেশ চার্জশিটে বাসব রামবাবুকে ঘটনার মূলচক্রী হিসেবে দেখানো হবে বলেও জানা গিয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, তদন্তেই জানা গিয়েছে, রামবাবু ঘটনার মূলচক্রী। শ্রীনুকে খুন করে ও খড়্গপুরে নতুন করে মাফিয়ারাজ ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল সে। শ্রীনু খুনের পরিকল্পনার ‘বড় মাথা’ই হচ্ছে রামবাবু। দিন কয়েকের মধ্যে যে পুলিশ চার্জশিট দেবে তা মানছেন মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরকুমার নায়েক। তাঁর কথায়, “তদন্ত চলছে। শীঘ্রই পুলিশ চার্জশিট জমা দেবে।”
গত ১১ জানুয়ারি বিকেলে খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে দুস্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। এই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রীনুর স্ত্রী পূজা। দুষ্কৃতী হামলায় নিহত হয় শ্রীনুর সহচর ধর্মা রাও।
শ্রীনু খুনের মামলাটি চলছে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে। নানা কারণে ইতিমধ্যে একাধিকবার মামলার তদন্তকারী অফিসার (আইও) বদল হয়েছে।
জড়িতদের কেউই যে ছাড় পাবে না, সোমবার খড়্গপুরে এসে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সাধারণত, ঘটনার তিন মাসের মধ্যেই চার্জশিট জমা দেওয়ার নিয়ম। এখনও পর্যন্ত রামবাবু-সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, “চার্জশিট তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই চার্জশিট পেশ করা হবে।” পুলিশের এক সূত্রে খবর, চার্জশিটে জিটি- র (গুণ্ডা ট্যাক্স) প্রসঙ্গ থাকতে পারে। জানানো হতে পারে, পুলিশ খড়্গপুরে জিটি আদায় পুরো বন্ধ করে দিয়েছিল। মাফিয়ারা জিটি আদায় করতে পারছিল না।
এক সময় শ্রীনুও রেলমাফিয়া ছিল। শ্রীনুর সঙ্গে রামবাবুর শত্রুতা অনেক পুরনো।
খুনের পরিকল্পনা করতে যে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে, এরমধ্যে কয়েকটি ভিন্ রাজ্যে, তাও জানানো হতে পারে চার্জশিটে। চার্জশিটে একাধিক এমন অভিযুক্তের নাম থাকতে পারে, যারা এখনও ধরা পড়েনি। যাদের খোঁজে তল্লাশি- অভিযান চলছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানাচ্ছেন, “এই সময়ের মধ্যে এই মামলার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy