দিন কয়েক স্বস্তি ছিল। আক্রান্তের হার কমে যাওয়াকে ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসাবে দেখছিলেন স্বাস্থ্যকর্তারা। ফের রেলশহরে দাপট দেখাল করোনা। উদ্বেগ বাড়িয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেও দ্বিতীয়বার পজ়িটিভ হয়ে গেলেন রেল হাসপাতালে প্রধান চিকিৎসক। মৃত্যু হল একজনের!
বৃহস্পতিবার রাতের করোনা রিপোর্ট অনুযায়ী, খড়্গপুর শহরের ১৪ জন, গ্রামীণের ৬ জন, সবংয়ে ৫ জন, নারায়ণগড়ের ৫ জন, কেশিয়াড়িতে ২ জন ও দাঁতন-২ ব্লকে ১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও খড়্গপুর শহরে রেলের মুখ্য হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসকও ফের করোনা পজ়িটিভ হয়েছেন। গত ১৫ জুলাই প্রথমবার পজ়িটিভ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বরিষ্ঠ ওই চিকিৎসক। সুস্থ হয়ে দিন কয়েক আগে বাড়িতেও এসেছিলেন।
হাসপাতালে কাজে যোগ দেওয়ার আগে স্বেচ্ছায় করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন তিনি। অথচ সেই পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয়বার পজ়িটিভ হয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রেলের স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য বিষয়টিকে গুরুতরভাবে দেখছেন না। রেলের চিফ মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট এস এ নাজমি বলেন, “আইসিএমআরের রিপোর্টে অনুযায়ী এটা স্বাভাবিক ঘটনা। একজন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে ৬০ দিন পর্যন্ত তাঁর শরীরের ভিতরে সংক্রমণের মৃত কোষ থেকে যেতে পারে। আরটিপিসিআরের মতো যন্ত্র এত বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন যে সেই মৃত কোষও ধরা পড়ে যায়। এক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। আমাদের ওই চিকিৎসক সুস্থ রয়েছেন।”