সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন এ বার অনুষ্ঠিত হবে মেদিনীপুর শহরে। দু’দিনের সম্মেলন শুরু হবে আজ, শনিবার প্রকাশ্য সমাবেশের মধ্য দিয়ে। সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা শ্যামল চক্রবর্তী, দীপক দাশগুপ্ত, দীপক সরকার প্রমুখ নেতৃত্বের।
মেদিনীপুরের লোধা স্মৃতি ভবনে এই সম্মেলনে প্রতিনিধি থাকবেন প্রায় তিনশো। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিধিরা আসবেন। সম্মেলন সফল করতে প্রচার- অভিযান চালিয়েছে সিটু। সাজিয়ে তোলা হয়েছে মেদিনীপুর শহরকেও। মোড়ে মোড়ে সংগঠনের পতাকা-ফেস্টুন রাখা হয়েছে, তৈরি করা হয়েছে তোরণ।
বাম আমলে পশ্চিম মেদিনীপুরে আধিপত্য ছিল সিটু-র। বিভিন্ন কলকারখানায় সংগঠনের শক্তিশালী ইউনিট ছিল। অবশ্য রাজ্যে পালাবদলের পরে সংগঠন ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে জেলায় সিটু-র সদস্য অনেকটাই কমেছে। এখন পশ্চিম মেদিনীপুরে সিটু-র সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৪ হাজার। অথচ, বছর ছয়েক আগেও সদস্য সংখ্যা ছিল ৪২ হাজারের কাছাকাছি। সংগঠিত ক্ষেত্রে এখন ইউনিট রয়েছে ৫৮টি। অথচ, এক সময়ে জেলায় ১১০টিরও বেশি ইউনিট ছিল। এই পরিস্থিতিতে জেলা সম্মেলনে সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হবে। জেলার সব কল-কারখানায় ইউনিট গড়ার বার্তা দেওয়া হবে। সিটু-র এক জেলা নেতার কথায়, “ধৈর্য ধরে এগোতে হবে। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও যে সমর্থন ছিল তাকে পুনরুদ্ধার করে পরিকল্পনামাফিক প্রচেষ্টা চালালে অনেকটাই সাফল্য আসবে।’’
দু’দিনের এই সম্মেলন থেকে সংগঠনে রদবদল আনা হতে পারে বলেও খবর। এখন সিটু-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকের পদে রয়েছেন বিশ্বনাথ দাস। সম্পাদক পদে পরিবর্তন হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন কীর্তি দে বক্সী। কীর্তিবাবু সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। পুরনো কমিটির কয়েকজন সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। কমিটিতে ‘নতুন মুখ’ আনা হবে। সম্মেলনের শুরুতে সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করা হবে। তারপর তা নিয়ে আলোচনা করবেন প্রতিনিধিরা। দু’দিনের এই অষ্টম জেলা সম্মেলন শেষ হবে কাল, রবিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy