Advertisement
E-Paper

তমলুকে আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ার

রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে গুরুতর জখম হলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। সোমবার রাতে তমলুক শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পদুমবসান এলাকার ঘটনা। তমলুক থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত সুমিত চক্রবর্তী নামে বছর ছাব্বিশের ওই যুবক আপাতত তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মোটা অঙ্কের টাকা ধার দেওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে সুমিতকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:১৮
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমিত। —নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমিত। —নিজস্ব চিত্র।

রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে গুরুতর জখম হলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। সোমবার রাতে তমলুক শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পদুমবসান এলাকার ঘটনা। তমলুক থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত সুমিত চক্রবর্তী নামে বছর ছাব্বিশের ওই যুবক আপাতত তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মোটা অঙ্কের টাকা ধার দেওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে সুমিতকে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ওই যুবকের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির টাকা পয়সা লেনদেন হত। তার জেরেই এমন ঘটনা। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় বছর ধরে তমলুক থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেন সুমিত। সোমবার সন্ধ্যায় তমলুক থানার পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে ওই যুবক অনন্তপুর এলাকায় তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলেন। কাজ সেরে রাত ১২ টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর রাতের খাওয়া সেরে রাত আড়াইটে নাগাদ ফের সাইকেল চেপে তমলুক শহরের বড়বাজার এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ফের সাইকেল চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় মুখে কালো কাপড় বাঁধা তিনজন দুষ্কৃতী তাঁকে আটকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সুমিতের পেটে দুষ্কৃতীরা ছুরি চালায় এবং তাঁর শরীরে দুষ্কৃতীরা ছুরি মারে ও শরীরে একাধিক স্থানে ব্লেড দিয়ে চিরে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত বিপন্মুক্ত রয়েছেন সুমিত।

হাসপাতালে শুয়ে সুমিত বলেন, ‘‘মামাবাড়ির জমিজমা বিক্রির সুবাদে দাদুর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আমি পেয়েছিলাম। সেই টাকা তমলুক শহরের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীকে ধার দিয়েছিলাম। কিন্তু বারবার ওই টাকা চাইলেও তা ফেরৎ পাইনি। আমার মনে হয় এই ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর হাত রয়েছে।’’

Civic volunteer criminals Tamluk
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy