পুলিশের টহল। নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী লরি মালিকদের খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত হল হলদিয়ার সিটি সেন্টার মোড়। সোমবার দুপুরের ঘটনায় দু’জন পুলিশ কর্মীরা পাশাপাশি বেশ কয়েকজন লরি মালিক আহত হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় নার্সিংহোম ও হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘লরি আটকে চালককে মারধর-সহ একাধিক অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সিটি সেন্টার মোড়ে গিয়েছিল। তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে লরি মালিকরা ইট ছোঁড়েন। এতে দুই কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ এই ঘটনায় ১৩জনকে গ্রেফতার করেছে।’’
লরি চালকদের ওপর জুলুমবাজি, জাতীয় সড়কে গাড়ি আটকানো, পুলিশকে হামলা-সহ একাধিক অভিযোগে এ দিন হলদিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট লরি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক পশুপতি সাহু-সহ মোট ১৩ জন লরি মালিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বেআইনিভাবে মণ্ডপ বাঁধা, মাইক বাজানোর অভিযোগে পুলিশ মাইক আটক করা হয়েছে। ধৃতদের সোমবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণ বন্ধ করার দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। গত ২২জুলাই থেকে হলদিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন লরিতে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণ বন্ধের দাবিতে হলদিয়ার সিটি সেন্টার মোড়ে ৪১নম্বর জাতীয় সড়কের শিবির করে ধারে আন্দোলন করছে। সোমবার সকালে এক লরি চালককে মারধর করে তার কাছ থেকে কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়ে সেখানে পুলিশ গেলে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ পুলিশ লরি মালিকদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে। লরি মালিকরাও পুলিশকে পাল্টা ইট ছোড়ে।
হলদিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য চম্পারানী মাঝির অভিযোগ, ‘‘পরিবহণ সংস্থা অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণ করতে লরি মালিকদের বাধ্য করছে। ফলে রাস্তার যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই লরি মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ দিন পুলিশ অন্যায়ভাবে লরি চালকদের মারধর করেছে।’’ মঙ্গলবার সকালে এর প্রতিবাদে মিছিল করার ডাকও দিয়েছেন তিনি।
রাজ্য ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুভাষচন্দ্র বসুর বক্তব্য, ‘‘আমরা নিয়মমাফিক গাড়ি চালাচ্ছি। সোমবার সকালে পুলিশই আমাদের মঞ্চ ভেঙে দেয়। আমাদের মারধর করে। আমরা পুলিশের উপর হামলা চালাইনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy