ছবি: সংগৃহীত
২০১৭-র ৪ এপ্রিল ঝাড়গ্রাম নতুন জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে । তারপর এই প্রথম সে জেলায় পা পড়ছে তাঁর। স্বাভাবিক ভাবেই জেলার উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দরাজ হস্ত হতে পারেন। অন্তত এমনটাই মনে করছেন জেলা প্রশাসন থেকে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলমহলে এসে ফের ‘কল্পতরু’ মুখ্যমন্ত্রী প্রচুর মানুষকে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করতে পারেন। তার জন্য ইতিমধ্যেই উপভোক্তাদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, মঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধে নেবেন ১০৭ জন। ধামসা-মাদল যেমন বিতরণ হবে, তেমনই জমির পাট্টাও বিলি করা হবে। ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “নতুন জেলা ঘোষণার পরে এই প্রথম ঝাড়গ্রাম সফরে মুখ্যমন্ত্রী। সব দিক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের গুরুত্ব আলাদা। তিনি এই জেলার জন্য অনেক কিছু করেছেন। প্রতিশ্রুতিও রয়েছে অনেক। ফলে এ বার কিছু চমকও থাকতে পারে।”
আজ, মঙ্গলবার দুপুরে ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক হবে। সেখানে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকেরা। বৈঠকের পরে ঝাড়গ্রাম শহরে বিজয়া সম্মিলনী হবে। থাকবেন জেলার পুজো উদ্যোক্তা থেকে সাংসদ, বিধায়কেরা। কাল, বুধবার ঝাড়গ্রামেই পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান হবে। পরিষেবা প্রদানের জায়গায় ৩২টি স্টল তৈরি হয়েছে ৪,৮০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ মাঠে আয়োজিত এই জনসভায় প্রায় ১১৬ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি ২০৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রায় ২৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দের ২৬৫টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিতরণ করা হবে কৃষি বার্ধক্য ভাতা, কিসান ক্রেডিট কার্ড, সয়েল হেলথ কার্ড, পাম্প সেট, পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর প্রভৃতি।
সব মিলিয়ে, ঝাড়গ্রাম সফরে যেন ‘কল্পতরু’ হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy