পাহাড়ের পর এবার জঙ্গলমহল সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দু’দিনের ঝাড়গ্রাম সফরে আসছেন তিনি।
আগামী ১৫ তারিখ হেলিকপ্টারে বেলপাহাড়িতে পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানকার ফুটবল মাঠে প্রশাসনিক জনসভা করবেন তিনি। শুক্রবার বেলপাহাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল পরিদর্শনে যান ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুন, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার রাঠৌর অমিতকুমার ভরত-সহ জেলা পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। পরিদর্শনকারী দলে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতিও। অজিতবাবু জানান, ১৫ তারিখ বেলপাহাড়ির প্রশাসনিক জনসভায় বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। উপভোক্তাদের হাতে নানা উন্নয়ন পরিষেবা তুলে দেবেন। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী দু’দিনের জেলা সফরে আসছেন।”
বেলপাহাড়ির সভা সেরে সড়ক পথে ঝাড়গ্রামে পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে পর্যটন দফতরের রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে রাতে থাকার কথা তাঁর। পরদিন ১৬ তারিখ ঝাড়গ্রাম এসপি অফিসে জেলার উন্নয়ন বিষয়ক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে জেলার ৮টি ব্লকের বিডিও এবং ৯টি থানার আধিকারিক সহ জেলার সমস্ত স্তরের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। বৈঠক সেরে ওই দিন হেলিকপ্টারেই ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
শিলদা-কাণ্ডের অষ্টম বর্ষপূর্তির দিন বেলপাহাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভাকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দিনদুপুরে বেলপাহাড়ি ব্লকের শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। নিহত হন ২৪ জন ইএফআর জওয়ান। ওই ঘটনার স্মরণে প্রতি বছর শিলদায় পুলিশের উদ্যোগে শহিদ স্মরণের অনুষ্ঠান হয়।